বিচারকের প্রতীকী চিত্র। ছবি- শাটারস্টক।
ফ্রান্সের বাসিন্দা এম জেভিয়ার। টিএসও নামের এক রেলওয়ে কনস্ট্রাকশন কোম্পানিতে কাজ করতেন তিনি। সংস্থার কাজে ২০১৩তে তাঁকে পাঠানো হয়েছিল সে দেশের লইরেট এলাকায়। সেটা ছিল নিতান্তই একটি ব্যবসায়িক সফর। সেখানে গিয়ে এক মহিলার সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। তাঁর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন জেভিয়ার। তবে সেই সম্পর্ক শেষ অবধি সুখের হয়নি। সঙ্গমের সময়ই হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয় জেভিয়ারের।
অফিসের কাজে গিয়ে যৌন সম্পর্কের সময় জেভিয়ারের ওই মৃত্যুকে সম্প্রতি ‘কর্মস্থলে দুর্ঘটনা’ বলল প্যারিসের আদালত। সেই দুর্ঘটনার জন্য জেভিয়ারের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের নির্দেশও দেয় আদালত। জেভিয়ারের সংস্থা অবশ্য ক্ষতিপূরণ দিতে প্রথম থেকেই অরাজি ছিল। তাঁদের যুক্তি ছিল, অফিসের কাজ নিয়ে যাওয়া কোনও ব্যক্তির ব্যক্তিগত কাজের জন্য মৃত্যু হলে সংস্থা দায়ী নয়। আর যাঁর সঙ্গে সঙ্গম করার সময় জেভিয়ারের মৃত্যু হয়েছে তিনি ওই সংস্থার কেউ নন।
কিন্তু সংস্থার এই যুক্তি খারিজ করেছে ফরাসি আদালত। আদালত জানিয়েছে, কর্মসূত্রে ভ্রমণের সময় কর্মীর মৃত্যু যে কারণেই হোক, সংস্থা তার প্রতি দায়বদ্ধ। এই বিষয়টি নিয়ে আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, ‘‘যৌনতা প্রাত্যহিক জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। রোজ যেমন আমরা স্নান, খাওয়া করি, তেমনই সুস্থ জীবন যাপন করতে যৌনতারও প্রয়োজন রয়েছে।’’
আরও পড়ুন: প্রেমে ব্যর্থ, আত্মহত্যার চেষ্টা, ২০ বছর বয়স থেকে অ্যাসাইলামই ঠিকানা আইনস্টাইনের ছেলের!
আরও পড়ুন: রিয়াধের রাস্তায় শরীর-ঢাকা পোশাক ছাড়া মহিলা, হাঁ করে তাকিয়ে দেখলেন মানুষ