জরিমানার ১২০০ পাউন্ড। ছবি : সংগৃহীত।
জরিমানা চেয়ে এমন বিপাকে পড়তে হবে মনে হয় স্বপ্নেও ভাবেননি এক সরকারি আধিকারিক। ১২০০ পাউন্ড জরিমানা হয়েছিল এক ব্যবসায়ীর। ব্যবসায়ী জানিয়ে দিয়েছিলেন সেই অর্থ দিয়ে দেবেন। কিন্তু জরিমানার ১২০০ পাউন্ড নিতেই পারলেন না সরকারি আধিকারিক। উল্টে বলে আসেন, তিনি এই অর্থ নিয়ে যেতে পারবেন না। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেবেন। আসলে এই ১২০০ পাউন্ডের ওজন দাঁড়িয়েছিল প্রায় অর্ধেক টন। অবাক হলেন?
নথিপত্রের গণ্ডগোলের জন্য ২০১৩ থেকে একটি জরিমানা বাকি পড়ে ছিল ইংল্যান্ডের ক্যানকের ব্যবসায়ী চিকি ম্যাথিউ সেমের (৩৯)। তিনি জানিয়েছেন, এক সরকারি আধিকারিক তাঁকে একদিন ফোন করেন। বলেন বকেয়া জরিমানা না দিলে কড়া পদক্ষেপ কর হবে। কথাগুলি একটু রূঢ় ভাবেই বলেন ওই আধিকারিক। ম্যাথিউ উত্তরে বলেন, তিনি জরিমানার ‘প্রতিটি পেনি’ মিটিয়ে দেবেন।
আসলে ২০১৩ সালে জরিমানা হওয়ার পর সরকারি দফতর থেকে নাকি একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছিল ম্যাথিউকে। কিন্তু তিনি বাসা বদল করায় চিঠি পাননি বলে দাবি করেছেন। ফলে ৬ বছরে সেই জরিমানা বেড়ে ১২০০ পাউন্ডে পৌঁছে যায়।
আরও পড়ুন : সিংহের দল মারামারিতে ব্যস্ত, সাক্ষাত্ মৃত্যুর মুখ থেকে পালিয়ে গেল শিকার!
আরও পড়ুন : চাঁদে হাঁটছেন মহাকাশচারী, পাশ দিয়ে হুশ করে বেরিয়ে গেল অটোরিকশা!
সরকারি আধিকারিকের ফোন পেয়েই ম্যাথিউ সিদ্ধান্ত নেন তিনি এই জরিমানা দেবেন, কিন্তু বিষয়টা অতো সহজ হবে না ওই আধিকারিকের কাছে। ম্যাথিউ যেহেতু ব্যবসা করেন, তাই নিয়মিত ব্যাঙ্কের সঙ্গে লেনদেন রয়েছে। তিনি সরাসরি ব্যাঙ্কে ফোন করে বলেন, তাঁর ১২০০ পাউন্ড লাগবে, তবে তা সবই ১ পেনির কয়েনে। ম্যাথিউ জানিয়েছেন, ব্যাঙ্কের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক তাই কর্তৃপক্ষ জিজ্ঞেসও করেননি কেন ১২০০ পাউন্ড, ১ পেনির কয়েনে লাগবে। তাই সময় মতো তিনি সেই ১ লক্ষ ২০ হাজার কয়েন পেয়েও যান।
নির্দিষ্ট সময়েসরকারি আধিকারিক পৌঁছে যান ম্যাথিউয়ের বাড়িতে। জরিমানার অর্থ চাইতেই গাড়ির পিছনের ডিকি খুলে দেন ম্যাথিউ। সেখানেই রাখা ছিল ১ লক্ষ ২০ হাজার কয়েন। সরকারি আধিকারিক হতবাক হয়ে যান জরিমানার অর্থ দেখে। এই কয়েনের মোট ওজন ছিল প্রায় ৫০০ কেজি।
ম্যাথিউ জানিয়েছেন, এই কয়েন গাড়ি থেকে বের করার জন্য তিনি একটি বালতির ব্যবস্থাও করে রেখেছিলেন। এমনকি এই কাজে সরকারি আধিকারিককে তিনি সাহায্য করতেও রাজি ছিলেন। কিন্তু ওই আধিকারিক জানিয়ে দেন, তিনি এই জরিমানার অর্থ নিতে পারবেন না। আর গোটা বিষয়টি তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেবেন। ফলে জরিমানার অর্থ হাতের কাছে পেয়েও তা না নিয়েই ফিরে যেতে হয় সরকারি আধিকারিককে।