ছবি: ফেসবুক
ঠাকুমাকে ছাড়া বিয়ে করবেন না নাতনি। কিন্তু ঠাকুমার ফুসফুসে ক্যান্সার। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। বাঁচবেন হয়তো আর কয়েকটা দিন। বিয়ের আসরে আসা অসম্ভব। তাই বিয়ের আসরই ঠাকুমার হাসপাতালের ঘরে তুলে নিয়ে গেলেন নাতনি।
হাসপাতালের শয্যায় অক্সিজেনের নল লাগিয়ে হাসিমুখে নাতজামাইয়ের মুখ দেখলেন ঠাকুমার। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়তে লড়তেও এই পরিণয় অনুষ্ঠান একগাল হাসি ভরিয়ে দিল ৭১ বছরের অ্যাভিস রাসেলের মুখে।
পাত্রী সিন এই বছরের শেষের দিকে বিয়ে করবেন বলে ঠিক করেছিলেন। কিন্তু হঠাৎই তাঁর ঠাকুমার শরীর খারাপ হতে শুরু করে। ধরা পড়ে ক্যান্সার। হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় তাঁকে। দ্রুত শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে ঠাকুমা অ্যাভিসের।
চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, বছরের শেষ পর্যন্ত নাও বাঁচতে পারেন অ্যাভিস। মারণ কর্কট রোগের জাল ক্রমে গ্রাস করে কার্যত শয্যাশায়ী করে দেয় অ্যাভিসকে। তখনই বিয়ের তারিখ ও স্থান পাল্টানোর সিদ্ধান্ত নেন সিন।
হাসপাতালের যে কেবিনে অ্যাভিস ভর্তি, সেখানেই আয়োজন করেন বিয়ের। সেই ঘরে পাত্রের সঙ্গে আংটি বদল হয়। নাতনি আর নাতজামাইকে বিবাহ চুম্বনে আবদ্ধ হতে দেখেন মৃত্যুশয্যায় থাকা ঠাকুমা।