বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ফ্রান্সের সৈকত। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
সমুদ্রের তটে ভেসে আসছে কয়েকশো কিলোগ্রাম বিশুদ্ধ কোকেন। হ্যাঁ ঠিকই দেখছেন, মাদক দ্রব্য কোকেনই ভেসে আসছে প্রতিদিন সমুদ্রের ঢেউয়ে। আর তার জেরে বন্ধ করে দিতে হল বেশ কয়েকটি সমুদ্র সৈকত।
অক্টোবর শেষের দিক থেকে ফ্রান্সে আটলান্টিকে সাগরের তটে প্রতিদিন গড়ে প্রায় একশো কিলোগ্রাম করে কোকেন ভেসে আসছে। মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়েছেন সে দেশের এক আধিকারিক। কোকেনগুলি প্যাকেটবন্দি হয়ে ভেসে আসছে। সেগুলি অত্যন্ত উচ্চমানের কোকেন, প্লাস্টিকের প্যাকেটে বন্দি থাকায়, জলে ভেসে এলেও কোনও রকম বিকৃতি ঘটেনি। তাইসাধারণ মানুষের হাতে যাতে সেগুলি না পড়ে তার জন্য সৈকত বন্ধ করে বসানো হয়েছে পুলিশি প্রহরা।
কয়েকশো কোটি টাকার এমন মাদক কী ভাবে কোথা থেকে আসছে, তা নিয়ে তদন্ত চলছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট এক হাজার ১০ কিলোগ্রাম কোকেন উদ্ধার হয়েছে বলে খবর। দু’দিন আগেও এই পরিমাণটা ছিল ৭৬৩ কিলোগ্রাম। তারপই হঠাত্ লাফিয়ে বেড়ে যায় কোকেনের প্যাকেট ভেসে আসার পরিমাণ।
আরও পড়ুন: এই চিনা চিকিত্সকের নগ্ন ছবি আলোড়ন তুলল সোশ্যাল মিডিয়ায়
প্রশাসন ভয় পাচ্ছে, অবৈধকোকেন ব্যবসায়ী বা ভবিষ্যতের ব্যবসায়ীরা এর ফলে প্রবল উত্সাহের সঙ্গে কোকেনগুলি হাতানোর চেষ্টা করবে। ইতিমধ্যেই একাধিক ব্যক্তিকে ওই কোকেনের প্যাকেট-সহ গ্রেফতার করা হয়েছে। ১৭ বছরে এক কিশোর তিন ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে ফ্রান্সের ওই সৈকতে পৌঁছয়। যাকে পরে পাঁচ কিলোগ্রাম কোকেনের একটি প্যাকেট সমেত ধরা হয়। তাই উদ্ধার হওয়া ব্যতীত কত কোকেন চোরা বাজারে চলে গিয়েছে তারও তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে অযথা অ্যাড হওয়া আটকাবেন কী করে? জেনে নিন
তদন্তকারীরা মনে করছেন, সমুদ্রের মাঝে হয় ঝড় বা যান্ত্রিক গোলযোগের মধ্যে প়ড়ে কোকেন বোঝাই কোনও জাহাজ। পরিস্থিতি সামলাতে সেই জাহাজ থেকে প্যাকেট প্যাকেট কোকেন সমুদ্রে ফেলে ভার কমানোর চেষ্টা হয়ে থাকতে পারে। তাই অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে ওই গোটা এলাকায় জাহাজ চলাচলের সব তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খুঁজে বার করার চেষ্টা হচ্ছে কোথা থেকে এল ওই কোকেন।
দেখুন সংবাদ সংস্থার প্রকাশিত ফ্রান্সের সৈকতের ছবি: