রল্ফ বুখহলজ। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নেওয়া ছবি।
অনেকেই নিজেকে নানান রকম করে সাজানোর চেষ্টা করেন। কেউ উল্কি বা ট্যাটু করেন, কেউ শরীরের নানান অংশে ধাতুর রিং পরেন। তবে এমন করতে গিয়ে একাধিক বার গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম ওঠার কথা শুনেছেন। শুনে থাকতেই পারেন, কারণ জার্মানির রল্ফ বুখহলজ ২০১০ সালে প্রথম গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম তোলেন, নিজের শরীরে সব থেকে বেশি ছিদ্র করার জন্য।
এখনও পর্যন্ত রল্ফ তাঁর শরীরে মোট ৫১৬ বার এমন পরিবর্তন করেছেন। যেখানে ট্যাটু, ছিদ্র করে গয়না পরেছেন বা অন্য কোনও পরিবর্তন করিয়েছেন। আর সেই কারণে ফের এক বার রল্ফের নাম উঠেছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে।
শুরুটা হয়েছিল বছর ২০ আগে তখন রল্ফের বয়স ছিল ৪০। প্রথম একটি ট্যাটু করান শরীরে তার পর একের পর এক পরিবর্তন করতে করতে তাঁর শরীরর আজ এই জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে। এখন তাঁর কপালে সিংয়ের মতো দু’টি অংশ তৈরি হয়েছে, জিভ সাপের মতো দু’ ভাগে বিভক্ত, শরীরে অজস্র ছিদ্র করে গয়না ঝোলানো হয়েছে। এমনকি, চোখের সাদা অংশের রংও পরিবর্তন করে ফেলেছন।
আরও পড়ুন: বর্জ্য মাস্ক ডেকে আনছে নতুন ভয়, চোখ খুলে দিল সিগালের ছবি
আরও পড়ুন: প্রাণ বাঁচাল হাত ঘড়ি, ইনদওরে প্রৌঢ়ের কঠিন রোগ ধরিয়ে দিল অ্যাপল ওয়াচ
সব মিলিয়ে ২০ বছর আগের রল্ফের সঙ্গে বর্তমানের ছবির মিল পাওয়া কঠিন। তবে রল্ফ জানিয়েছেন, ‘তাঁর বাহ্যিক রূপের পরিবর্তনই ঘটেছে, তিনি ভিতর থেকে যেমন ছিলেন তেমনই রয়েছেন’।