শতায়ু পার হওয়া তিন বন্ধু। ছবি: সংগৃহীত
তাঁরা যে অতিমারির মতো একটা বড় ঘটনা দেখে যেতে পারছেন, তাতেই তাঁদের আনন্দের সীমা নেই। অতিমারিকে টেক্কা দিয়ে শতায়ু পার করার খুশি যে লাগাম ছাড়া হবে, সে তো স্বাভাবিক। বয়সের সেঞ্চুরি পার তিন বন্ধু তাই করোনার টিকা নিয়েই সেই আনন্দ উদ্যাপন করলেন।
তিন বন্ধু ম্যানহাটনের আপার ওয়েস্ট সাইডের বাসিন্দা। তিন জনেই ১০০ পূরণ করেছেন জুন মাসে এক সপ্তাহের ফারাকে। এঁদের মধ্যে রুথ স্কোয়ার্জের জন্মদিন ছিল গত ১৫ জুন। রুথ বলেছেন, ‘‘আমরা বোধ হয় কোনও বিশেষ সৌভাগ্যক্ষণে জন্মেছিলাম। তাই আজ এমন দিন দেখে যেতে পারছি। অতিমারি পৃথিবীর এক ঐতিহাসিক ঘটনা। ভাল লাগছে, এই কঠিন সময় আমরা একসঙ্গে কাটিয়ে দিতে পেরেছি বলে। শেষ পর্যন্ত আমরা এই অতিমারিকে আটকানোর টিকাও নিতে পেরেছি।’’
রুথের বান্ধবী লরেইন পিরেলো একজন পেশাদার ব্রিজ খেলোয়ার। কম বয়সে নিউ ইয়র্কের এক অপেরা হাউসে ২০ বছর ব্রিজ খেলার কাজ করেছেন তিনি। ২০ বছর সেই পেশায় থাকার পর অবসর নিয়েছিলেন। লরেইনের জন্মদিন ছিল ১৮ জুন। ১০০ পার করা লরেইন জানিয়েছেন, টিকা নিয়ে তাঁর মনে হচ্ছে, তিনি নতুন জীবন পেয়েছেন। নতুন ভাবে বেঁচে উঠেছেন। অতিমারির বন্দিদশা আর পোষাচ্ছিল না তাঁর। এ বার তিনি একটু স্বাধীন ভাবে ঘুরে বেড়াতে চান।
তৃতীয় বন্ধু এডিথের জন্মদিন ছিল ৮ জুন। তাঁর জন্মদিনেই তিন বন্ধু টিকা নিয়েছেন। নিজেদের জন্মদিন পালনও করেছেন। এডিথ জানিয়েছেন, জন্মদিন আর এখন নতুন করে কোনও আনন্দ দেয় না। তবে অতিমারির মতো একটা বিপদকে তাঁরা এই বয়সে টেক্কা দিলেন, এটা আনন্দের। টিকা নিয়ে তাই তিনিও ঘুরে বেড়াতে চান। মিউজিয়াম, গানের আসরে যোগ দিতে চান।