শিম্পাঞ্জি ভ্যানিলা। ছবি: ফেসবুক।
বনের পাখি যখন বলেছিল, ‘‘আকাশ ঘন নীল, কোথাও বাধা নাহি তার,’’ সে কথার মর্মার্থ খাঁচার পাখির পক্ষে বোঝা সম্ভব হয়নি। তার মনে হয়েছিল, ‘‘খাঁচাটি পরিপাটি কেমন ঢাকা চারি ধার।’’
কিন্তু পরিপাটি খাঁচা থেকে একবার আকাশের নীচে দাঁড়ানো মানে ঠিক কী, ২৯ বছর বয়সে এসে বুঝল ভ্যানিলা। এই শিম্পাঞ্জি এত কাল খাঁচার বাইরে কোনও দুনিয়া দেখেনি। জন্মের পর প্রথম দু’বছর কেটেছিল নিউ ইয়র্কের কুখ্যাত ‘ল্যাবরেটরি ফর এক্সপেরিমেন্টাল মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি ইন প্রাইমেটস’-এ। তার পর ওই ল্যাব বন্ধ হয়ে গেলে তাকে পাঠানো হয় ক্যালিফোর্নিয়াতে। পাঁচ বর্গফুটের চেয়ে বড় খাঁচা মিলল এ বারে, কিন্তু খাঁচাই তো! ১৯৯৭ থেকে ২০১৯, সেখানেই থাকল ভ্যানিলা। কিন্তু ক্যালিফোর্নিয়ার ওই পশুআবাসও বন্ধ হল ২০১৯-এ। সঙ্গে দাবানলের ভ্রূকুটি। সেভ দ্য চিম্প সংগঠনের পক্ষ থেকে ওই শিম্পাঞ্জিদের ভাগাভাগি করে পাঠানো হতে থাকল অন্যান্য চিড়িয়াখানায়। ভ্যানিলার জন্য নির্ধারিত হল ফ্লরিডার ফোর্ট পিয়ার্স।
সেখানে এখন একটা দ্বীপে নতুন বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে ভালই আছে ভ্যানিলা। বিশেষ করে ডুইট নামে পুরুষ বন্ধুটির সঙ্গে তার খুব ভাব! আর এখানেই ডুইটের সঙ্গে তার প্রথম আকাশ দেখা। ভ্যানিলা একেবারে আপ্লুত। তার সেই ভিডিয়ো প্রকাশ করে সেভ দ্য চিম্প-এর অন্যতম চিকিৎসক অ্যান্ড্রু হালোরান বলছেন, ‘‘ভ্যানিলা এখন নতুন পৃথিবীর আস্বাদ পেয়েছে।’’