— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
নিখোঁজ হওয়া নাবালিকার দেহ উদ্ধার হল তার পিসির বাড়ির পিছনে একটি ডোবা থেকে। ওই ঘটনায় মৃতের পিসতুতো দাদাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, বোনকে খুন করে ডোবায় ফেলে দেন তিনি। রবিবার এই ঘটনায় শোরগোল উত্তর ২৪ পরগনার হাসনবাদ থানার মনোহরপুর এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার সকাল থেকে সাত বছরের এক বালিকা নিখোঁজ ছিল। কোথাও তাকে খুঁজে না পেয়ে হাসনাবাদ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করে পরিবার। তদন্ত শুরু করে পুলিশ। শনিবার গভীর রাতে একটি ডোবা থে কে নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়। কিছু ক্ষণের মধ্যেই আটক করা হয় এক যুবককে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই খুনের বিষয়টি জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত স্বীকার করেছেন তিনি খুন করেছেন। যদিও কারণ জানা যায়নি। খুনের আগে যৌন হেনস্থা হয়েছিল কি না, সেটাও তদন্তসাপেক্ষ বলে জানাচ্ছে পুলিশ।
রবিবার সকালে আবার ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। খুনের ঘটনার পুনর্নির্মাণের জন্য অভিযুক্তকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আলেয়া বিবি নামে মৃতের এক আত্মীয়া বলেন, ‘‘ওকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল আরিফ (অভিযুক্ত)। তার পর থেকে বাচ্চাটাকে আর পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি। আরিফকেও জিজ্ঞাসা করেছিলাম। কিন্তু তখন সও কিচ্ছু বলেনি। পুলিশ ওকে ধরে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে সব স্বীকার করেছে। তবে কেন ও খুন করল, আমরা কেউই জানি না।’’ মৃত নাবালিকার বাবা মিঞারাজ গাজি বলেন, ‘‘আমি লরি চালাই। শনিবার বাড়িতে ছিলাম না। মেয়ে নিখোঁজ শুনে বাড়িতে আসি। তার পর সব জানতে পেরেছি। কিন্তু কেন এই ঘটনা ঘটল, এখন কিছুই বলতে পারছি না।’’
ধৃতের বাড়ি সিল করে দিয়েছে পুলিশ। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপার হোসেন মেহেদি হাসান বলেন, ‘‘ধর্ষণের কোনও অভিযোগ নেই। খুনের অভিযোগ আছে। ময়নাতদন্তের পর পুরো বিষয়টি জানা যাবে।’’