ছবি রয়টার্স।
কোভিড টিকার বুস্টার ডোজ় দেওয়ায় ছাড়পত্র দিয়ে দিল আমেরিকা। সে দেশের স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, প্রবীণ ও ঝুঁকির তালিকায় থাকা বাসিন্দাদের তৃতীয় ডোজ় দেওয়া শুরু হবে শীঘ্রই। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ রাষ্ট্রপুঞ্জ। তাদের অভিযোগ, গরিব দেশগুলো এখনও একটি ডোজ়ও দিতে পারেনি বাসিন্দাদের।
রাষ্ট্রপুঞ্জ জানিয়েছে, বিশ্বের অন্তত ১৫টি দেশ (বেশির ভাগই আফ্রিকার) জনসংখ্যার ৩ শতাংশকেও প্রথম ডোজ়টি দিয়ে উঠতে পারেনি। এর মধ্যে রয়েছে নাইজিরিয়া, ইথিয়োপিয়ার মতো দেশ। আফ্রিকার সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ নাইজিরিয়া, অন্তত ২০ কোটি মানুষের বাস। ইথিয়োপিয়ায় থাকেন সাড়ে ১১ কোটি মানুষ। টিকাকরণে মারাত্মক পিছিয়ে হাইতি-ও। আমেরিকার ফ্লরিডা থেকে মাত্র ৭০০ মাইল দূরে এই দেশ। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ইয়েমেনে এ পর্যন্ত ১.১ শতাংশ বাসিন্দাকে টিকার একটি ডোজ় দেওয়া হয়েছে। দিনে গড়ে ২৪৪ জন টিকা পাচ্ছেন। রাষ্ট্রপুঞ্জের বক্তব্য, এই পরিস্থিতিতে বুস্টার ডোজ়ে ছাড়পত্র দেওয়ার অর্থ গরিব দেশগুলোকে অতিমারির মধ্যে ফেলে রাখা। তারা এ-ও সাবধান করছে, বিশ্বের কোথাও করোনাভাইরাস থেকে যাওয়ার অর্থ বিপদ থেকে যাওয়া। টিকাহীন অঞ্চলগুলোতে সংক্রমণ ঘটবে এবং ভাইরাসের নতুন অতিসংক্রামক স্ট্রেন তৈরি হবে। বুস্টার ডোজ় চালু করার জন্য এই বছরের শেষ পর্যন্ত ধনী দেশগুলোকে অপেক্ষা করতে আবেদন জানিয়েছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র প্রধান টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস।
রাষ্ট্রপুঞ্জের আপত্তি উপেক্ষা করে আগেই ইজ়রায়েল, জার্মানি-সহ কিছু ধনী দেশে বুস্টার ডোজ় দেওয়া শুরু হয়েছে। এই তালিকায় নাম ঢুকলো আমেরিকার। সেন্টারস ফর ডিজ়িজ় কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)-র ছাড়পত্রে লক্ষ লক্ষ আমেরিকান বুস্টার ডোজ় পাবেন আগামী মাসে।
ধনী দেশগুলোর বক্তব্য, তারা রাষ্ট্রপুঞ্জের কোভ্যাক্স প্রকল্পের মাধ্যমে টিকা দান করছে। কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় সামান্য। রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেজ় একটি বৈঠকে বলেন, ‘‘বিশ্বে ৫৭০ কোটিরও বেশি ডোজ় টিকাকরণ হয়েছে। কিন্তু এর ৭৩% পেয়েছে বিশ্বের ১০টি দেশ।’’