US

মহাকাশের লড়াই থেকে টিকা আবিষ্কার, ফের শিরোনামে ‘স্পুটনিক’

শেষ পর্যন্ত ১৯৬৯ সালে অ্যাপোলো-১১-য় তিন ‘অ্যাস্ট্রোনট’কে চাঁদে পাঠিয়ে ‘ মুখরক্ষা’ করেছিল নাসা। এবার টিকার-লড়াইটা কোন মাত্রা নেবে আপাতত তারই প্রতীক্ষায় আন্তর্জাতিক মহল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২০ ২১:০৬
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

ফের টেক্কা দেওয়ার প্রতীক হয়ে গেল ‘স্পুটনিক’! ৬৩ বছর আগে রেষারেষিটা ছিল মহাকাশ অভিযান ঘিরে। পূর্বতন সোভিয়েত জমানার সঙ্গে আমেরিকার। এ বার তা কোভিড-১৯ অতিমারির টিকা আবিষ্কারের। সোভিয়েত গুপ্তচর সংস্থা কেজিবি-র প্রাক্তন প্রধান ভ্লাদিমির পুতিন প্রমাণ করলেন, তিন দশক আগে সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়ন টুকরো হলেও মস্কো-ওয়াশিংটন টানাপড়েনে ইতি পড়েনি এখনও।

Advertisement

প্রতিপক্ষকে টেক্কা দেওয়ার ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক নামের আশ্রয় নেওয়া নতুন কিছু নয়। পাকিস্তানও তাদের অনেক ক্ষেপণাস্ত্রের নাম রেখেছে ভারতকে আক্রমণকারী সম্রাটদের নামে। রাশিয়াও স্পুটনিক-১ মহাকাশে পাঠিয়ে শীত যুদ্ধের সময় আমেরিকাকে টেক্কা দেয়। ১৫৫৭ সালের ৪ অক্টোবর মহাকাশে প্রথম পাড়ি দিয়েছিল সোভিয়েত কৃত্রিম উপগ্রহ স্পুটনিক-১। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘নাসা’কে টেক্কা দিয়ে সেই সাফল্য আনন্দে উত্তাল করে তুলেছিল সমাজতান্ত্রিক দুনিয়াকে। ১৯৫৯ সালে আমেরিকা সফরে গিয়ে সোভিয়েত রাষ্ট্রপ্রধান নিকিতা ক্রুশ্চেভ সেই সাফল্যের প্রতীক হিসেবে মার্কিন রাষ্ট্রপতি আইজেনহাওয়ারকে একটি মহাকাশযানের মডেল উপহার দিয়েছিলেন। সোভিয়েত মহাকাশযান লুনা-২ ততক্ষণে চাঁদের কক্ষপথে কাছে পৌঁছে অবতরণের প্রতীক্ষায়!

স্পুটনিকের পরে ফের খোঁচায় মরিয়া হয়ে ওঠে নাসা। কিন্তু ১৯৬১ সালে ফের একদফা ধাক্কা। ভস্তক-১-এ সওয়ার হয়ে ইউরি গ্যাগারিন পৌঁছে গেলেন মহাকাশে। ছিনিয়ে নিলেন প্রথম ‘কসমোনট’ তকমা। আজকের রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন তখন সবে হাইস্কুলের দোরগোড়ায় পা রেখেছেন। টেক্কা দেওয়ার সেই সংস্কৃতি সেদিন থেকেই সম্ভবত জানা ছিল তাঁর। আর আজ করোনা টিকার ‘স্পুটনিক-৫’ নামকরণ সম্ভবত সেই স্মৃতিরই পরিণাম।

Advertisement

আরও পড়ুন: করোনা যুদ্ধে বাজিমাত রাশিয়ার? বিশ্বে প্রথম টিকা তৈরির দাবি পুতিনের

আরও পড়ুন: বাড়াতেই হবে টেস্ট, কনট্যাক্ট ট্রেসিং, মমতাদের বললেন মোদী

শেষ পর্যন্ত ১৯৬৯ সালে অ্যাপোলো-১১-য় তিন ‘অ্যাস্ট্রোনট’কে চাঁদে পাঠিয়ে ‘ মুখরক্ষা’ করেছিল নাসা। এবার টিকার-লড়াইটা কোন মাত্রা নেবে আপাতত তারই প্রতীক্ষায় আন্তর্জাতিক মহল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement