এনএসজি ইস্যু: ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে জোর খোঁচা আমেরিকার

নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ার্স গ্রুপে (এনএসজি) ভারতের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে ফের জোর সওয়াল করল আমেরিকা। পাকিস্তান যে ভাবে ভারতের অন্তর্ভুক্তির বিরোধিতা করছে, তারও সমালোচনা শোনা গেল মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখে। শুধু পরমাণু অস্ত্র হাতে থাকলেই হয় না, দায়িত্বশীল পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র হতে হয়— ইসলামাবাদকে এমনই বার্তা শোনালো ওয়াশিংটন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০১৬ ১৫:৩৫
Share:

নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ার্স গ্রুপে (এনএসজি) ভারতের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে ফের জোর সওয়াল করল আমেরিকা। পাকিস্তান যে ভাবে ভারতের অন্তর্ভুক্তির বিরোধিতা করছে, তারও সমালোচনা শোনা গেল মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখে। শুধু পরমাণু অস্ত্র হাতে থাকলেই হয় না, দায়িত্বশীল পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র হতে হয়— ইসলামাবাদকে এমনই বার্তা শোনালো ওয়াশিংটন।

Advertisement

এনএসজি-তে ভারতকে ঢুকতে না দিতে বদ্ধপরিকর পাকিস্তান। এর জন্য বেশ কিছু দিন আগেই তারা চিনের দ্বারস্থ হয়েছে। চিন এনএসজি সদস্য। তাই সংগঠনের ভিতর থেকে ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম তারা। পাকিস্তানকে কাছে টানতে প্রথমে এনএসজি-তে ভারতের অন্তর্ভুক্তির কঠোর বিরোধিতা শুরু করেছিল চিন। পরে সুর অনেকটা নরম করেছে তারা। কিন্তু পাকিস্তান এখনও ভারতের পথে কাঁটা বিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় আছে। ভারত এনএসজি-র সদস্য হলে দক্ষিণ এশিয়ায় পরমাণু অস্ত্রের প্রতিযোগিতা আরও অনেক বাড়বে বলে পাকিস্তান আশঙ্কা প্রকাশ করছে বার বার।

ভারতকে সে প্রসঙ্গে কিছু বলতে হয়নি। তার আগেই জবাব দিয়েছে আমেরিকা। মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের উপ-মুখপাত্র মার্ক টোনার বলেছেন, ‘‘এটা অস্ত্র প্রতিযোগিতার বিষয়ই নয় এবং এটা পরমাণু অস্ত্রের সঙ্গেও সম্পর্কিত নয়। এটি হল পরমাণু শক্তির অসামরিক ব্যবহারের বিষয়। আশা করি পাকিস্তান সে কথা বুঝবে।’’

Advertisement

আরও পড়ুন:

দুই মেয়ে চলে গিয়েছে আইএস ক্যাম্পে, বাকি দু’জনকে আঁকড়ে মা

টোনারের মন্তব্যে পাকিস্তানের আচরণ সম্পর্কে যথেষ্ট উষ্মার আঁচ মিলেছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। টোনার শুক্রবারের সাংবাদিক বৈঠকে আবার মনে করিয়ে দিয়েছেন, ২০১৫ সালে ভারত সফরে গিয়েই প্রেসিডেন্ট ওবামা প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছিলেন যে ভারতকে এনএসজি সদস্য করতে সক্রিয় হবে আমেরিকা। যে দেশ যত বিরোধিতাই করুক, আমেরিকা যে ভারতের পাশেই থাকবে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মার্ক টোনার। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশারদরা বলছেন। টোনারের মন্তব্যে পাকিস্তানের প্রতি তীব্র কটাক্ষ রয়েছে। এনএসজি-র লক্ষ্য আসলে কী, পাকিস্তান সেটাই ঠিক মতো জানে না, ঘুরিয়ে নাকি এমনটাই বলতে চেয়েছেন মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের উপ-মুখপাত্র।

মার্কিন বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, ৪৮টি সদস্য দেশের প্রতিনিধিরা বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত নেবেন, নতুন সদস্যদের অন্তর্ভুক্তি কী ভাবে হবে। তবে ভারতের অন্তর্ভুক্তির ইস্যুতে যাতে সব সদস্যের সম্মতি আদায় করা যায়, তার চেষ্টাতেই রয়েছে আমেরিকা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement