মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়ো।—ছবি এএফপি।
ইঙ্গিত আগেই ছিল। সেই পথেই হেঁটে ফের ইরানের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করল আমেরিকা। শনিবার সন্ধ্যায় মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়ো এই ঘোষণা করেন।
পম্পেয়ো জানিয়েছেন, আমেরিকার আশা রাষ্ট্রপুঞ্জের সমস্ত সদস্য দেশই তাদের পাশে থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে সাহায্য করবে। নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গে তিনি জানান, ইরানকে অস্ত্র সরবরাহ কিংবা তৈরিতে সাহায্যের ক্ষেত্রেও এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষানিরীক্ষা, পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র সংক্রান্ত প্রযুক্তি সরবরাহের উপরেও নিষেধাজ্ঞা বলবৎ হবে। রাষ্ট্রপুঞ্জের কোনও সদস্য দেশ যদি নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করে ইরানকে সাহায্য করে, সেই ক্ষেত্রে আমেরিকাও পাল্টা পদক্ষেপ করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পম্পেয়ো।
ইতিমধ্যেই ইরানের উপরে আমেরিকার ফের নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তে ভিন্নমত জানিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের বহু দেশ।
পম্পেয়ো জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের জন্যে আগামী দিনে আমেরিকার তরফে আরও কিছু পদক্ষেপ ঘোষণা করা হবে। সেই বিষয়গুলি না-মানলে দায়ী থাকবে নিয়ম লঙ্ঘনকারী দেশই।
ইতিমধ্যেই ইরানের তরফেও রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ এবং রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিবকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, নতুন করে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা যেন কার্যকর করা না-হয়। রাষ্ট্রপুঞ্জে ইরানের প্রতিনিধি মাজিদ তখত রাভাঞ্চি চিঠিতে জানিয়েছেন, আমেরিকার উদ্দেশ্য রাষ্ট্রপুঞ্জের সদস্য দেশগুলির যৌথ পরিকল্পনা বানচাল করা। পাশাপাশি আইনি জটিলতা তৈরি। তেহরানের বিশ্বাস, নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশগুলি আমেরিকার এই কৌশল ফের ভেস্তে দেবে। বজায় থাকবে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের গ্রহণযোগ্যতা।