কমলা হ্যারিস। —ফাইল চিত্র।
২৩ অগস্ট: শিকাগোর ইউনাইটেড সেন্টারে ১৯ থেকে ২২ তারিখ হয়ে গেল ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কনভেনশন। নভেম্বরে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সেই নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট দলের প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে আনুষ্ঠানিক ভাবে যথাক্রমে কমলা হ্যারিস ও টিম ওয়ালজ়কে মনোনয়ন করা হল এই জাতীয় কনভেনশনে।
মাস খানেক আগে, রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রথম বিতর্কের পরে ডেমোক্র্যাট দলের অন্দরেই প্রশ্ন ওঠে, বাইডেন কি শারীরিক এবং মানসিক ভাবে আগামী পাঁচ বছর এই পদ সামলাতে পারবেন? তার পরেই নির্বাচনী দৌড় থেকে সরে দাঁড়ান বাইডেন এবং বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেন। কনভেনশনের শুরুতে বাইডেনের বিদায়ী বক্তৃতা থেকে চতুর্থ দিনের শেষে হ্যারিসের মনোনয়নগ্রহণ বক্তৃতা পর্যন্ত প্রায় পঞ্চাশ হাজার মানুষ এই কনভেনশনে যোগ দিয়েছেন। কনভেনশনে যাঁরা হাজির ছিলেন, তাঁরা এক কথায় মেনে নিচ্ছেন যে, দলে একটা নতুন উদ্দীপনা দেখা গিয়েছে। গত দু’মাসের নাটকীয় ওঠাপড়া কাটিয়ে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, প্রাক্তন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা, সেনেটর বার্নি স্যান্ডার্স, অথবা সেলিব্রিটি ওপ্রা উইনফ্রি, সকলেক বক্তৃতায় উত্তাল হয়েছেন উপস্থিত দর্শকরা। বক্তাদের মধ্যে ছিলেন বহু কৃষ্ণাঙ্গ বক্তা। এ বছরের কনভেনশন চেয়ারম্যান মিনিয়ন মুর এবং ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কমিটির চেয়ারম্যান জেমি হ্যারিসন দু’জনেই কৃষ্ণাঙ্গ আর তাঁরা স্বাগত জানালেন আমেরিকার প্রথম অ-শ্বেতাঙ্গ মহিলা প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীকে— সবটাই ইতিহাস হয়ে রইল।
গত কাল তাঁর বক্তব্যে কমলা বারবার বলেন তাঁর মা শ্যামলা হ্যারিসের কথা। বলেন, কী ভাবে মায়ের শিক্ষা, সংগ্রাম, মূল্যবোধ তাঁদের গড়ে তুলেছে। এই কনভেনশনে যে সব বিষয় নিয়ে বারবার আলোচনা হয়েছে তা হল— দেশের অর্থনীতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, সীমান্ত সমস্যা, যুদ্ধ, জলবায়ু সম্পর্ক এবং অবশ্যই মহিলাদের গর্ভপাতের অধিকার। হ্যারিস বারবার তাঁর বক্তব্যে মেয়েদের ‘রিপ্রোডাকটিভ রাইটস’ বা প্রজননের অধিকার ফিরিয়ে আনার উপরে জোর দিয়েছেন।