আমেরিকার আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পদপ্রার্থী নিকি হ্যালি। ফাইল ছবি।
আলোড়ন সৃষ্টি করেছে সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসা আমেরিকার শক্তি মন্ত্রকের প্রকাশিত নতুন এক তদন্ত রিপোর্ট। যেখানে দাবি করা হয়, দুর্ঘটনাবশত চিনের এক গবেষণাগার থেকেই ছড়িয়ে পড়েছিল করোনাভাইরাস। যে সূত্র ধরে এ বার চিনের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন আমেরিকার আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পদপ্রার্থী নিকি হ্যালি। ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই রিপাবলিকান রাজনীতিকের টুইট, ‘চিনের গবেষণাগার থেকেই ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড ১৯। দেশটিকে সহায়তা করা বন্ধ করুক আমেরিকা। একটি পয়সাও যেন না দেওয়া হয় কমিউনিস্ট দেশটিকে।’
এর আগে নিকিকে সমাজমাধ্যমে এ ভাবে সরাসরি তোপ দাগতে দেখা না গেলেও অতীতে বহু বার আমেরিকা-বিরোধী দেশগুলির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন তিনি। বলেছেন, ক্ষমতায় এলে আমেরিকা-বিদ্বেষীদের সব রকম আর্থিক সাহায্য একেবারে বন্ধ করে দেবেন তিনি। যে তালিকায় চিনের পাশাপাশি রয়েছে পাকিস্তান-সহ আরও বেশ কয়েকটি দেশ। নিকির দাবি, গত এক বছরে বিভিন্ন দেশকে সাহায্য করতে ৪৬০০ কোটি ডলার ব্যয় করেছে আমেরিকা। যা বিশ্বের সব দেশের নিরিখে সর্বোচ্চ। এই সূত্রে নিকির মন্তব্য, ‘‘তাঁদের দেওয়া করের অর্থ কী খাতে খরচ হচ্ছে তা জানার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে আমেরিকানদের। তাঁরা হয়তো জানলে অবাক হবে যে তাঁদের কষ্টার্জিত অর্থের বেশির ভাগই যাচ্ছে আমেরিকা বিরোধীদেশগুলির কাছে।’’
আমেরিকার রিপোর্টের জেরে করোনাভাইরাস ছড়ানো নিয়ে কাঠগড়ায় চিন। এর মাঝেই করোনা ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে এত দিন পর্যন্ত চলা কড়া মাস্ক-বিধি তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করল চিনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হংকং। বুধবার থেকে এই নয়া নিয়ম কার্যকর করা হবে। পর্যটক এবং ব্যবসা ফিরিয়ে এনে বাসিন্দাদের স্বাভাবিক জীবনযাপনের ছন্দে ফেরানোর লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ করা হল বলে মত কূটনীতিকদের।