USAID Fund Controversy

‘আমার বন্ধু মোদীর দেশে ১৮২ কোটি টাকা গিয়েছে’! অনুদান বিতর্কে ফের আক্রমণ ট্রাম্পের

আমেরিকার গভর্নরদের কার্যনির্বাহী অধিবেশনে বক্তৃতা দেওয়ার সময় ট্রাম্প আবার টেনে আনেন অনুদান প্রসঙ্গ। সেই ভাষণে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘বন্ধু’ বলে উল্লেখ করেছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৪:৩৩
Share:

মার্কিন সফরের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।

আমেরিকার ভোটারদের ভোটদানের জন্য বুথমুখী করার জন্য খরচ করতে পারে প্রশাসন। কিন্তু অন্য দেশের ভোটারদের জন্য কেন এত টাকা দেবে আমেরিকা? অনুদান বিতর্কে আবার মুখ খুললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাশাপাশি, এই বিতর্কে প্রথম ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামও নিলেন তিনি। এই নিয়ে তিন বার একই বিষয়ে ভারতকে অনুদান দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ট্রাম্প। শুধু ভারত নয়, বাংলাদেশেও অর্থসাহায্যের সমালোচনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

Advertisement

আমেরিকার গভর্নরদের কার্যনির্বাহী অধিবেশনে বক্তৃতা দেওয়ার সময় ট্রাম্প আবার টেনে আনেন অনুদান প্রসঙ্গ। সেই ভাষণে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ‘বন্ধু’ বলে উল্লেখ করেছেন ঠিকই, কিন্তু ভারতের নির্বাচনে ১৮২ কোটি টাকা (২ কোটি ১০ লক্ষ ডলার) অনুদান দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ট্রাম্প। তাঁর কথায়, ‘‘ভারতে ভোটারদের বুথমুখী করতে আমার বন্ধু প্রধানমন্ত্রী মোদীর দেশে ১৮২ কোটি টাকা যাচ্ছে। কিন্তু ভারতের ভোটারদের উপস্থিতি বৃদ্ধির জন্য আমাদের কী হবে? আমিও চাই ভোটারদের বুথমুখী করতে। কিন্তু সেটা আমার দেশের জন্য।’’

এর পরই বাংলাদেশের কথা উল্লেখ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্পের দাবি, বাংলাদেশকেও ২ কোটি ৯০ লক্ষ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২৫২ কোটি) অনুদান দেওয়া হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি শক্তিশালী করার জন্য এমন একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে ২ কোটি ৯০ লক্ষ ডলার গিয়েছে, যার নাম কেউ শোনেনি।’’

Advertisement

আমেরিকার দাবি, ভারতে ভোটারদের বুথমুখী করতে প্রায় ১৮২ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছিল তারা। সম্প্রতি সেই অনুদান বন্ধ করে দেয় ইলন মাস্কের দফতর। তার পর থেকেই এই অনুদান নিয়ে পূর্বতন জো বাইডেন প্রশাসনের বিরুদ্ধে তোপ দেগে চলেছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এ প্রসঙ্গে তিনি আগেও ভারতকে নিশানা করেছেন। বলেছিলেন, ‘‘ভারতে ভোটের হার বৃদ্ধির জন্য ২.১০ কোটি ডলার? ভারতের ভোট নিয়ে আমরা কেন মাথা ঘামাব? আমাদের নিজেদের তো অনেক সমস্যা রয়েছে। আমাদের নিজেদের ভোটের হার নিয়েও চিন্তা করতে হবে। এতগুলো টাকা ভারতে যাচ্ছিল! ভাবতে পারছেন?’’ শুধু তা-ই নয়, এই অনুদানকে ‘ঘুষের প্রকল্প’ বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। এই ধরনের ব্যবস্থাকে ‘বেআইনি’ বলে মনে করা হয়। ভারতকে বেআইনি ভাবে অনুদান দেওয়ার দাবি তুলে এর আগে বাইডেন প্রশাসনকে তুলোধনা করেছেন ট্রাম্প। মাস্কের পাশে দাঁড়িয়ে পূর্বসূরিকে নিশানা করে তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমার মনে হয়, কাউকে জেতানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। আমরা বিষয়টি ভারত সরকারকে জানিয়েছি।”

ট্রাম্প নতুন করে ক্ষমতায় আসার পরে বিভিন্ন দেশে ‘ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট’ বা ইউএসএডের পক্ষ থেকে দেওয়া আর্থিক অনুদান বন্ধ করে দেন। মাস্কের নেতৃত্বে তৈরি ডিওজিই (ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি) জানায়, ইউএসএড ভারতে ভোটের হার বাড়ানোর ডন্য ২.১০ কোটি ডলার ঢেলেছিল। গত রবিবার ভারত-সহ অন্যান্য একাধিক দেশে বরাদ্দ বাতিলের কথা জানায় মাস্কের দফতর।

অনুদান বন্ধ নিয়ে ট্রাম্পের বক্তব্যও ইতিমধ্যেই ভারতীয় রাজনীতিতে শোরগোল ফেলেছে। পাশাপাশি, বিশ্ব কূটনৈতিক মহলও আলোড়িত। ট্রাম্পের ঘোষণা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে মোদী সরকারও। শুক্রবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, বিষয়টি উদ্বেগজনক। গোটা বিষয় সংশ্লিষ্ট দফতর খতিয়ে দেখছে বলেও জানান বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement