যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার চিত্র। — ফাইল চিত্র।
শুধু রাশিয়া নয়, সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদ সরকারের পতন ঘটানো সশস্ত্র বিদ্রোহী বাহিনী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)-এর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে আমেরিকাও! শনিবার এ কথা জানিয়েছেন আমেরিকার বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এই প্রথম বার সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের কথা স্বীকার করল আমেরিকা!
শনিবার জর্ডনের আকাবায় তুরস্ক, মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সিরিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে বৈঠকের পর এ কথা স্বীকার করে নেন ব্লিঙ্কেন। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে সিরিয়ার এইচটিএস এবং অন্যান্য গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে আমেরিকা। সিরিয়া প্রশ্নে ব্লিঙ্কেন আরও বলেন, ‘‘দামাস্কাসের এই মুহূর্তে এমন একটি সরকারের প্রয়োজন, যারা সংখ্যালঘুদের অধিকারকে সুনিশ্চিত করবে এবং কোনও রকম সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীকে মদত দেবে না। এ বিষয়ে আমরা সবাই একমত হয়েছি।’’ পাশাপাশি, রাষ্ট্রপুঞ্জের বিশেষ দূত গেইর পেডারসেনও বৈঠকে অংশ নেওয়া দেশগুলিকে মানবিক ভাবে সিরিয়ার পাশে থাকার অনুরোধ জানান। সিরিয়ায় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলি যাতে ভেঙে না পড়ে, তা-ও নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তবে জর্ডনের ওই বৈঠকে সিরিয়ার কোনও প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। ছিল না ইরান কিংবা রাশিয়াও, যারা অতীতে বিভিন্ন সময়ে সিরিয়ার আসাদ সরকারকে আর্থিক ও সামরিক সহায়তা দিয়েছিল।
গত ৮ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট আসাদ সরকারকে উৎখাত করে সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাস দখল করেছিল বিদ্রোহী গোষ্ঠী এইচটিএস এবং তাদের সহযোগী ‘জইশ আল-ইজ্জা’র যৌথবাহিনী। দামাস্কাস ছেড়ে সপরিবার রাশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন আসাদ। তদারকি সরকারের ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসাবে দায়িত্বগ্রহণ করেছেন মহম্মদ আল-বশির। এর পরেই আমেরিকা, রাশিয়া-সহ বেশ কয়েকটি দেশ জানিয়েছে, তারা সিরিয়ার নতুন সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। সেই আবহেই একে একে প্রকাশ্যে আসছে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সিরিয়ার বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর যোগাযোগের কথা। শুক্রবারই জানা গিয়েছে, এইচটিএস নেতা আবু মহম্মদ আল-জুলানির সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে গৃহযুদ্ধ পর্বে ধারাবাহিক ভাবে আসাদের সেনাকে ‘মদত’ দিয়ে আসা রাশিয়াও!