হঠাৎ পাক সফর, মার্কিন মিডিয়ার চোখে ‘হিরো’ মোদী

ফের ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করল মার্কিন সংবাদ মাধ্যম। আগ বাড়িয়ে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেওয়ায়। কাবুল থেকে দিল্লি ফেরার পথে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঙ্গে দেখা করতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হুট করে লাহোরে নেমে পড়ে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছেন মার্কিন সংবাদ মাধ্যমকে। বিশ্বে কৃটনীতির ইতিহাসে যা একেবারেই বিরল ঘটনা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৫ ১৮:০৩
Share:

তিনি ফের ‘হিরো’!

Advertisement

ফের ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করল মার্কিন সংবাদ মাধ্যম। আগ বাড়িয়ে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেওয়ায়।

কাবুল থেকে দিল্লি ফেরার পথে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঙ্গে দেখা করতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হুট করে লাহোরে নেমে পড়ে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছেন মার্কিন সংবাদ মাধ্যমকে। বিশ্বে কৃটনীতির ইতিহাসে যা একেবারেই বিরল ঘটনা।

Advertisement

মার্কিন মুলুকের ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’ লিখেছে, ‘‘দক্ষিণ এশিয়ায় দু’টি প্রতিবেশী দেশের কাছাকাছি আসার ক্ষেত্রে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই আচমকা পাকিস্তান সফর বাড়তি বল জোগাবে।’’ প্রায় একই সুরে মার্কিন দৈনিক ‘শিকাগো ট্রিবিউন’ লিখেছে, ‘‘এই সফর দু’টি প্রতিবেশী পরমাণু শক্তিধর দেশকে অনেক বেশি কাছাকাছি আসার সুযোগ করে দিল।’’

২০১৪-র ২৬ মে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রতিবেশী দেশগুলির সম্পর্ককে আরও জোরদার করে তুলতে মোদীর এ যাবৎ পদক্ষেপগুলোর মধ্যে ‘‘সবচেয়ে বড় চমক এই পাকিস্তান সফরই।’’ এটাই লিখেছে ‘টাইম’ ম্যাগাজিন। ওই ম্যাগাজিনে আরও লেখা হয়েছে, ‘‘গত এক দশকে এই প্রথম ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানে গিয়ে প্রমাণ করলেন, আগ বাড়িয়ে ইসলামাবাদের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিতে দিল্লির অন্তত সদিচ্ছার কোনও অভাব নেই।’’

কী লিখেছে ‘লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস’?

লিখেছে, ‘‘দীর্ঘ দিন ধরে দু’দেশের সম্পর্কের যে টানাপোড়েন চলছে, মোদীর সফর তার প্রশমনে অব্যর্থ ওষুধের কাজ করল।’’

তবে সবচেয়ে মজার কথাটা লিখেছে ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’। লেখা হয়েছে, ‘‘মোদী বরাবরই তাঁর ‘কৃটনেতিক ভোলবদল’ (‘ডিপ্লোম্যাটিক ডান্স’)-এর জন্য বিখ্যাত। এ বারও তাঁর আচমকা লাহোর সফর সেই ‘ভোলবদলই’! যার খবর আমাদের পাঠকদের কাছে পৌঁছতে হয়েছে এসএমএস আর টুইটারে। কারণ, আমাদের রিপোর্টাররাও সে খবর জানতেন না। তাঁরা তৈরি হওয়ার সময়ও পাননি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement