করোনা সংক্রমণ।
করোনাভাইরাসের উৎস সংক্রান্ত গবেষণায় কোন তত্ত্ব সবচেয়ে বেশি যুক্তিযুক্ত, সে বিষয়ে পর্যাপ্ত তথ্য নেই আমেরিকার গোয়েন্দা গোষ্ঠীর হাতে। এমনটাই জানাচ্ছে দ্য ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের দফতর (ওডিএনআই)।
করোনাভাইরাসের উৎপত্তি নিয়ে এখনও পর্যন্ত একাধিক তত্ত্ব উঠে এসেছে। কিন্তু কোনও তত্ত্বের পক্ষেই জোরাল প্রমাণ সামনে আসেনি এখনও। চিনের উহান প্রদেশের খোলা পশুবাজার থেকে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পক্ষে যুক্তি দেখাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। অন্য একটি অংশের দাবি, গবেষকদের গাফিলতির কারণেই উহানের পরীক্ষাগার থেকেই তা ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে গবেষণা চালিয়ে সত্য সামনে আনার দাবিতে চিনের উপর ক্রমশ চাপ বাড়াচ্ছে আমেরিকা। গত বুধবারই করোনাভাইরাসের উৎস নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ৯০ দিনের মধ্যে তার রিপোর্টও চেয়েছেন তিনি। কিন্তু তার পরই ওডিএনআই জানাল, এখনও পর্যন্ত কোনও মার্কিন তদন্তকারী সংস্থার হাতে এ বিষয়ে বড় প্রমাণ নেই।
আমেরিকার ১৭টি গোয়েন্দা সংস্থা এ বিষয়ে তদন্ত চালাচ্ছে। এমনকি সিআইএ এবং প্রতিরক্ষা দফতরের গোয়েন্দা সংস্থার হাতেও এ বিষয়ে বড় তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করে উঠতে পারেনি। তারা যে একেবারেই আত্মপ্রত্যয়ী নয়, তা তাদের বক্তব্যেই পরিষ্কার। তাও জানিয়ে দিচ্ছে ওডিএনআই।
সম্প্রতি জানা যায়, ২০১৯ সালে শুরুতেই উহানের গবেষণাগারের তিন গবেষক অজানা রোগে মারা গিয়েছিলেন। কোভিডের মতোই উপসর্গ ছিল তাঁদের। এ দিকে, করোনা ছড়িয়ে পড়ার খবর সামনে আসে ওই বছরের শেষে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, উহানের ল্যাব থেকে ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে ছড়িয়েছে ওই ভাইরাস এবং চিন সেই খবর দেরিতে প্রকাশ করেছে। পাল্টা চিনের দাবি, ‘সম্পূর্ণ ভুল’ এবং ‘ষড়যন্ত্র-তত্ত্ব’ আওড়াচ্ছে আমেরিকা।