হুয়াইয়ে, জেডটিই-সহ কয়েকটি চিনা ব্র্যান্ডের টেলিযোগাযোগ ও ভিডিও নজরদারি সরঞ্জাম আমদানি নিষিদ্ধ আমেরিকায়। ফাইল চিত্র।
জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে কয়েকটি চিনা টেলিকম সংস্থার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি বাইডেন প্রশাসন। সে দেশের কেন্দ্রীয় যোগাযোগ কমিশন (ফেডেরাল কমিউনিকেশনস কমিশন বা এফসিসি) জানিয়েছে, হুয়াইয়ে, জেডটিই-সহ বেশ কয়েকটি চিনা ব্র্যান্ডের টেলিযোগাযোগ ও ভিডিও নজরদারি সরঞ্জাম আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এফসিসির কমিশনার ব্যান্ডন কর শুক্রবার বলেন, ‘‘এফসিসির পাঁচ সদস্যের অনুমোদন বিষয়ক কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’’ আমেরিকার কংগ্রেসের সদস্যদের তরফেও এই সিদ্ধান্তের পক্ষে ইতিবাচক বার্তা এসেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, আমেরিকার সংবাদমাধ্যমের একাংশ আগেই অভিযোগ তুলেছিল ৫-জি মোবাইল পরিষেবায় চিনা সরঞ্জামের ব্যবহারের ফলে জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত স্পর্শকাতর তথ্য পাচার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
হুয়াইয়ে এবং জেডটিই ছাড়াও নিষেধাজ্ঞার তালিকায় হাইতেরা কমিউনিকেশনস, হাংঝু হিকভিশন ডিজিটাল টেকনোলজি কোম্পানি এবং দাহুয়া টেকনোলজি কোম্পানি রয়েছে বলে এফসিসি সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত, ডোনাল্ড ট্রাম্পের জমানায় কার্যকর হওয়া ‘সিকিওর অ্যান্ড ট্রাস্টেড কমিউনিকেশনস নেটওয়ার্কস অ্যাক্ট’-কে হাতিয়ার করেই চিনা টেলিকম সরঞ্জামে নিষেধাজ্ঞা জারি করল বাইডেন সরকার। প্রসঙ্গত, ভারত-সহ বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন সময়ে হুয়াইয়ের বিরুদ্ধে টেলিকম সরঞ্জামের সাহায্যে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ উঠেছে।
২০২০ সালে বিএসএনএল এবং এমটিএনএল-এর মতো রাষ্ট্রায়ত্ত টেলি পরিষেবা সংস্থাগুলিকে চিনা টেলিকম সরঞ্জাম ও যন্ত্রাংশ ব্যবহার না করার নির্দেশ দিয়েছিল মোদী সরকার। বেসরকারি টেলি যোগাযোগ সংস্থাগুলিকেও এ বিষয়ে কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলার কথা বলা হয়েছিল। টেলি যোগাযোগ মন্ত্রক সূত্রে সে সময় জানা গিয়েছিল, মোবাইল পরিষেবায় চিনা সংস্থার অনুপ্রবেশের জেরে সার্বিক ভাবে নিরাপত্তাগত আশঙ্কা থাকার কারণেই ছিল ওই পদক্ষেপ। এর পরে ভারতে , হুয়াইয়ে, জেডটিই-র মতো চিনা টেলিকম সরঞ্জাম নির্মাতা সংস্থার ‘কার্যকলাপ’ কিছুটা নিয়ন্ত্রিত হয়।