আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা বাড়ছে ভারতীয় চিনির। প্রতীকী ছবি।
দেশের বাজারে চিনির দাম থিতু করার জন্য গত মে মাসে রফতানি নিয়ন্ত্রণে নির্দেশিকা জারি করেছিল কেন্দ্র। সম্প্রতি সেই বিধিনিষেধের মেয়াদ ২০২৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু বিদেশে ভারতের চিনির চাহিদা ক্রমশ বেড়ে চলায় চিনি ব্যবসায়ীদের তরফে ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণ শিথিলের আশা করা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রক সূত্রের খবর, ব্রাজিলে কম উৎপাদনের ফলে বিশ্ববাজারে চিনির জোগান কমার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। ফলে দাম বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। তার ধাক্কা যাতে দেশের বাজারে না পড়ে, তার জন্য গত ১ জুন থেকে ১ কোটি টন চিনি রফতানির ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়া হয়। এর পর সেই সময়সীমা আরও এক বছরের জন্য বাড়ানো হয় গত অক্টোবরে।
সরকারি পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে ২০২২-এর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাজারে ৯৪ লক্ষ টন চিনি রফতানি করেছে ভারত। শুধু ২০২১ সালে রফতানির পরিমাণ ছিল ১ কোটি ১২ লক্ষ টন। নিয়ন্ত্রণ চালু না হলে চলতি অর্থবর্ষে তা আরও অনেক বাড়ার সম্ভাবনা ছিল।
এমইআইআর কমোডিটিজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান রাহিল শেখ জানিয়েছেন, যে ভারত এই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে চিনি রফতানির জন্য বেশ কয়েকটি চুক্তি সই করতে পারে। আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতীয় চিনির প্রচণ্ড চাহিদা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আগামী বছরের মার্চ মাসের মধ্যে অন্তত ৬০ লক্ষ টন চিনি রফতানি হবে।’’ আন্তর্জাতিক বাজারে দাম ও চাহিদা বাড়ার কারণে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রক শেষ পর্যন্ত ১ কোটি টনের সীমারেখা কিছুটা বাড়াবে বলে তাঁর আশা।