Donald Trump

ভিসা নিয়ে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার উপর স্থগিতাদেশ মার্কিন আদালতের

প্রথম দফায় ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ভূমিপুত্রদের কর্মসংস্থানের উপরই বেশি জোর দিয়ে আসছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২০ ১৬:০৮
Share:

—ফাইল চিত্র।

সাংবিধানিক অধিকারের বাইরে গিয়ে পদক্ষেপ করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই যুক্তিতে তাঁর ভিসা নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দিল মার্কিন আদালত। অর্থাৎ বিভিন্ন সংস্থার উপর বিদেশ থেকে কর্মী নিয়োগে যে নিষেধাজ্ঞা বসিয়েছিল মার্কিন সরকার, তা আর কার্যকর রইল না। বরং জরুরি প্রয়োজনে বিদেশি নাগরিকদের চাকরি দিয়ে শূন্য পদগুলি পূরণ করা যাবে।

প্রথম দফায় ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ভূমিপুত্রদের কর্মসংস্থানের উপরই বেশি জোর দিয়ে আসছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নোভেল করোনার জেরে উদ্ভুত সঙ্কট এবং আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে গত জুন মাসে প্রশাসনিক ডিক্রির বলে সাময়িক ভাবে ভিসায় রাশ টানার সিদ্ধান্ত বলবৎ করেন তিনি। নতুন করে এইচ ১ বি, এইচ ২ বি, এল ১ এবং জে ১ -সহ ভিসা না দেওয়ার বিলে সই করেন। জানিয়ে দেন, এ বছরের শেষ পর্যন্ত আর কোনও ওয়র্ক ভিসা দেওয়া হবে না। এর ফলে মার্কিন নাগরিকদের জন্য পাঁচ লক্ষ ২৫ হাজার কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সেইসময় প্রতিবাদে সরব হয় সে দেশের বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তি ও পণ্য উৎপাদনকারী সংস্থা। বিষয়টি নিয়ে আদালতে পৌঁছয় ন্যাশনাল অ্যসোসিয়েশন অব ম্যানুফ্যাকচারার্স। সরকারি সিদ্ধান্তকে শুধুমাত্র আইন বিরোধী বলেই উল্লেখ করেনি তারা, এর নির্দেশের ফলে সংস্থাগুলির উপর সঙ্কট আরও চেপে বসবে বলেও আদালতে জানানো হয়।

Advertisement

আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মেলানিয়া, টুইট মার্কিন প্রেসিডেন্টের​

বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানিতেই ক্যালিফোর্নিয়ার নর্দান ডিস্ট্রিক্টের বিচারপতি জেফরি হোয়াইট জানিয়ে দেন, নিজের সাংবিধানিক অধিকারের বাইরে গিয়ে এই পদক্ষেপ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশের অভিবাসন নীতি কী হবে, সংবিধান অনুযায়ী তা ঠিক করার দায়িত্ব একমাত্র কংগ্রেসের। প্রেসিডেন্টের হাতে সেরকম কোনও ক্ষমতা দেওয়া হয়নি।

Advertisement

আরও পড়ুন: ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে নয়া নিয়ম চালু করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক​

আদালতের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান ন্যাশনাল অ্যসোসিয়েশন অব ম্যানুফ্যাকচারার্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট তথা জেনারেল কাউন্সেল লিন্ডা কেলি। তিনি বলেন, ‘‘দক্ষ কর্মী খুঁজে এনে নিজ নিজ ক্ষেত্রে উদ্ভাবন ঘটানোয় গোটা বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতা আমাদের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে যারা, এই উদ্ভাবনী শক্তির মূল স্তম্ভ হিসেবে দেখতে চায়, সাময়িক ভাবে হলেও, সেই ম্যানুফ্যাকচারার্স কমিটি আজকের এই সিদ্ধান্তকে জয় হিসেবেই দেখছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement