—ফাইল চিত্র।
১২ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে টুইটারে ফিরলেন আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার নিজের টুইটার হ্যান্ডলে অবশ্য স্বভাবসিদ্ধ আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে দেখা যায়নি তাঁকে। বরং যে ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হামলায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে ট্রাম্পের উপর ওই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল, তার নিন্দায় সরব হয়েছেন তিনি।
টুইটারে ফিরেই ৩ মিনিটের নিজের সংক্ষিপ্ত ভাষণের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন ট্রাম্প। ওই ভাষণে ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হামলাকারীদের নিন্দা করে ট্রাম্প বলেন, ‘‘যাঁরা ক্যাপিটলে অনুপ্রবেশ করেছেন, তাঁরা আমেরিকার গণতন্ত্রের আসনকে অপবিত্র করেছেন।’’ ক্যাপিটলে হামলাকে ‘জঘন্য আক্রমণ’ বলেও আখ্যা দেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘সব আমেরিকানের মতোই এই হিংসা এবং আইনভঙ্গের ঘটনায় আমিও ক্ষুব্ধ।’’
হোয়াইট হাউসের সামনে জড়ো হওয়া তাঁর সমর্থকদের উদ্দেশে ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ের দিকে যাত্রার কথা বলেছিলেন ট্রাম্প। অভিযোগ, তার পরেই ওই হামলা হয়। ক্যাপিটলে ঢুকে ভাঙচুরও চালান তাঁর সমর্থকেরা। ভাবী প্রেসিডেন্ট ডো বাইডেনকে জয়ের শংসাপত্র দেওয়ার জন্য প্রক্রিয়া কিছুক্ষণের জন্য থমকে যায়। হামলাকারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষে নিহত হন ৫ জন। আহত হন বহু বিক্ষোভকারী। এর পরই টুইটারে একাধিক ভিডিয়ো-বার্তায় ট্রাম্পকে হামলাকারীদের উদ্দেশে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘দেশপ্রেমিক’ ‘আপনারা স্পেশাল’ বা ‘আপনাদের আমরা ভালবাসি’ মতো কথা। ওই ভাষণের পরই ট্রাম্পের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ফেসবুক, টুইটার, এবং ইনস্টাগ্রাম।
আরও পড়ুন: এইচ-১বি ভিসার নিয়মে হচ্ছে বদল, লটারির বদলে গুরুত্ব কর্মদক্ষতা ও বেতনে
আরও পড়ুন: টিকায় মিলবে বছর দু’য়েকের সুরক্ষা, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিতর্কের মাঝে নয়া দাবি মডার্নার
ফেসবুক এবং টুইটারে অনির্দিষ্টকালের জন্য ট্রাম্পের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও টুইটার ব্যবহারে তাঁর ১২ ঘণ্টায় বাধা ছিল। সেই সময় অতিক্রান্ত হওয়ায় টুইটার ব্যবহারে বাধা কাটলেও ট্রাম্পকে চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ওই মাইক্রো-ব্লগিং কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে নাগরিক সংহতি ব্যাহত করে বা হিংসায় প্ররোচনা দেওয়ার বিরুদ্ধে টুইটারের যে নীতি রয়েছে, তা খণ্ডন করলে আজীবন ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে।