ফেসবুকের বিতর্কিত গ্রুপে মার্কিন অফিসার

ওয়াশিংটনে কংগ্রেসের সাব কমিটির শুনানিতে কার্লা এই স্বীকারোক্তি করেছেন। তিনি বলেছেন, ফেসবুকে তিনি খুব কমই লগ-ইন করেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ফিনিক্স শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০১৯ ০১:২১
Share:

তিনি মার্কিন সীমান্ত নজরদারির বিভাগের প্রধান। সম্প্রতি স্বীকার করেছেন, তিনি ফেসবুকের এমন একটি গ্রুপে রয়েছেন, যার সদস্যরা শরণার্থী এবং প্রশাসনের অশ্বেতাঙ্গ আধিকারিকদের ব্যঙ্গবিদ্রুপ করেন। ট্রাম্প প্রশাসনের সেই অফিসার কার্লা প্রোভোস্ট নামে ওই প্রধানের দাবি, তিনি গ্রুপটিতে থেকে বোঝার চেষ্টা করছিলেন, তাঁর অধস্তন কর্মীরা তাঁর সম্পর্কে কী ধরনের মন্তব্য করেন।

Advertisement

ওয়াশিংটনে কংগ্রেসের সাব কমিটির শুনানিতে কার্লা এই স্বীকারোক্তি করেছেন। তিনি বলেছেন, ফেসবুকে তিনি খুব কমই লগ-ইন করেন। বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে মাঝমধ্যে যোগাযোগ রাখার জন্য হয়তো কখনও-সখনও খোলেন। তিনি যে ওই গ্রুপের সদস্য, তা মার্কিন শুল্ক ও সীমান্ত সুরক্ষা বিভাগে জানিয়েছিলেন বলেও দাবি করেছেন কার্লা। এ মাসের গোড়াতেই ওই গ্রুপের পোস্টগুলির নিন্দা করে একটি বিবৃতি দিয়েছেন কার্লা। যদিও তখন বলেননি, যে তিনি নিজেই ওই গ্রুপটির সদস্য।

সীমান্ত নজরদারি বিভাগের এখনকার ৬২ জন এবং ৮ জন প্রাক্তন কর্মীকে ওই গ্রুপে (নাম, ‘আই অ্যাম ১০-১৫) তাঁদের ভূমিকা কী ছিল, তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এল সালভাডর থেকে আমেরিকায় আশ্রয় খুঁজতে আসা বাবা-মেয়ের ছবির (মেয়ে অ্যাঞ্জিকে জড়িয়ে থাকা বাবা, যাঁরা টেক্সাস সীমান্ত দিয়ে ঢুকতে গিয়ে ভেসে যান রিয়ো গ্র্যান্ড নদীতে) সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল এই গ্রুপে। এখানে কদর্য ছবি দিয়ে নিশানা করা হয়েছে মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য আলেকজ়ান্দ্রিয়া ওকাসিয়ো কোর্তেজ়কেও। কংগ্রেসে কার্লা সাক্ষ্য দেওয়ার আগে পর্যন্ত কেউই জানতেন না সীমান্ত নজরদারির বিভাগের প্রধান এই গ্রুপের সদস্য।

Advertisement

তিনি সাক্ষ্যে জানিয়েছেন, তাঁর লগ ইন আইডি ও পাসওয়ার্ড তিনি মার্কিন শুল্ক এবং সীমান্ত সুরক্ষা বিভাগে জমা দিয়েছেন। ২০১৭ সালে এক সহকর্মীর কাছ থেকে আমন্ত্রণ পেয়ে তিনি ওই গ্রুপে যোগ দেন। তাঁকে বলা হয়েছিল, নিজের নাম টাইপ করলে তাঁর সম্পর্কে মন্তব্য বা পোস্ট তিনি ওই গ্রুপ মারফত জানতে পারবেন। এখন কার্লার উপলব্ধি, ‘‘ওই গ্রুপের পেজে যে ধরনের পোস্ট করা হয়, তা দেখে আমিও আর সকলের মতোই ক্ষুব্ধ।’’

সীমান্তে নজরদারির জন্য তহবিল এবং মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে কত সংখ্যক পরিবার আর শিশু আসছে প্রতিদিন, মূলত সেই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ছিল শুনানি। সেই সূত্রেই কমিটি সদস্যদের মধ্যে কয়েক জন সমালোচনা করেন কার্লাকে। তাঁদের অভিযোগ, সীমান্তে নজরদারির দায়িত্বে থাকা অধিকাংশ আধিকারিকের কাছে শরণার্থীদের নির্যাতন করাটাই খুব স্বাভাবিক ব্যবহার বলে মনে হয়। যদিও কার্লার দাবি, ‘‘কয়েকটি পচা আপেল দেখে গোটা প্রতিষ্ঠানকেই খারাপ বলে ভাববেন না।’’ কার্লার উদ্দেশে মেরিল্যান্ডের ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি ডাচ রাপার্সবার্গার বলেছেন, ‘‘দেশের অতি-সাধারণ মানুষের কাছে নিজের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের জন্য এ বার আপনাকে অনেকটা পরিশ্রম করতে হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement