আমেরিকায় সাইক্লোন বোমার জেরে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬২। ছবি: রয়টার্স।
আমেরিকায় সাইক্লোন বোমার জেরে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬২। ভয়াবহ শীতকালীন তুষারঝড়ে বিধ্বস্ত গোটা দেশ। উত্তর আমেরিকা মহাদেশের অধিকাংশ এলাকা ঠান্ডায় জমে গিয়েছে। তাপমাত্রার পারদ নামতে নামতে পৌঁছে গিয়েছে হিমাঙ্কের অনেক নীচে। কোথাও কোথাও হিমাঙ্কের ৫৩ ডিগ্রি নীচেও নেমেছে পারদ।
আমেরিকায় সাইক্লোন বোমায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বাফেলো প্রদেশ। সেখান থেকেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৩০ জনের। গাড়ির ভিতর, বরফের নীচে, কোথাও আবার বাড়ির মধ্যে থেকেও পাওয়া গিয়েছে মৃতদেহ। কেউ বরফ সরাতে গিয়ে মারা গিয়েছেন, কারও মৃত্যু হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী সময়মতো পৌঁছতে না পারার কারণে।
তুষারঝড়ের প্রভাব কিছুটা কমলে যখন বরফ গলতে শুরু করবে, তখন আরও বেশি সংখ্যক মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।
টানা ৫ থেকে ৬ দিন প্রবল তুষারঝড়ের সাক্ষী থেকেছে আমেরিকা। যার ফলে দেশের নানা প্রান্তে পুরু বরফের স্তর জমে গিয়েছে। কোথাও কোথাও বরফের উচ্চতা হয়েছে ৮ থেকে ১০ ফুট। আবহাওয়ার কারণে দেশের একাধিক এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। অন্তত ২ লক্ষ মানুষ বিদ্যুৎহীন ভাবে দিন কাটাচ্ছেন। যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থাও বিপর্যস্ত। হাজার হাজার বিমান বাতিল করে দিতে বাধ্য হয়েছেন কর্তৃপক্ষ। শীতকালে এমন পরিস্থিতি আগে কখনও হয়েছে বলে মনে করতে পারছেন না কেউ।
এর আগে ১৯৭৭ সালে ভয়াবহ এক তুষারঝড়ের সাক্ষী থেকেছিল আমেরিকা। তাতে ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। অতীতের সেই রেকর্ড ছাপিয়ে গিয়েছে ২০২২ সালের সাইক্লোন বোমা।