‘ইউনাইটেড ফর জাস্টিস কনফারেন্স’-এ যোগ দিতে পশ্চিম ইউক্রেনের লিভিভে গিয়েছিলেন গারল্যান্ড। ছবি: রয়টার্স।
দু’সপ্তাহ আগেই ইউক্রেন সফর সেরে এসেছেন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জোবাইডেন। তার পরে আচমকাই ইউক্রেনে গেলেন আমেরিকার অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড। কিভের মাটিতে দাঁড়িয়ে বললেন, ‘‘রুশ যুদ্ধাপরাধীদের কাঠগড়ায় তোলা হবেই।’’
‘ইউনাইটেড ফর জাস্টিস কনফারেন্স’-এ যোগ দিতে পশ্চিম ইউক্রেনের লিভিভে গিয়েছিলেন গারল্যান্ড। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল তাঁকে। সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘‘আমরা সকলে ইউক্রেনে উপস্থিত হয়েছি একটাই কারণে, সমবেত ভাবে জানাচ্ছি, অপরাধীরা রেহাইপাবে না।’’
গারল্যান্ড আরও জানিয়েছেন, ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের তদন্ত করছেন যাঁরা, তাঁদের পাশে আছে আমেরিকা। সব রকম সাহায্য করা হবে। ইউক্রেনের বিস্ফোরণ স্থলগুলি থেকে অপরাধের তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে। হাসপাতাল, আবাসন, স্কুল, ধর্মস্থান, এমনকি কবর থেকেও দেহাবশেষ তুলে পরীক্ষা করা হচ্ছে। বিচার বিভাগের বক্তব্য, ‘‘অনেকেই আর জানাতে পারবেন না, তাঁদের সঙ্গে কী ঘটেছিল। তাঁদের কাহিনি আমরা জানাব।’’
গারল্যান্ড জানিয়েছেন, ইউক্রেন, লিথুয়ানিয়া, পোল্যান্ড, এস্টোনিয়া, লাটভিয়া, স্লোভাকিয়া, রোমানিয়া— এই সব ক’টি দেশের সঙ্গে আমেরিকা একজোটে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। সমবেত ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, অপরাধীদের শাস্তি হবেই।
গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখনও পর্যন্ত, এই নিয়ে দ্বিতীয় বার ইউক্রেন সফরে গেলেন গারল্যান্ড। দু’বারই তাঁর সফর গোপন রাখা হয়েছে।