আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ফাইল চিত্র।
দু’পক্ষের দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনা করতে চলতি মাসেই জেনিভায় মুখোমুখি হচ্ছেন যুযুধান দুই রাষ্ট্রনেতা, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার আগে ফোনে রাশিয়ার অন্যতম বিপক্ষ রাষ্ট্র ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির সঙ্গে তাঁর কথোপকথন জল্পনা উস্কে দিল কূটনীতিক বিশেষজ্ঞদের।
রবিবার জ়েলেনস্কির সঙ্গে কথা হয় বাইডেনের। সে বিষয়ে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি এক বিবৃতিতে বলেন, বাইডেন জ়েলেনস্কিকে জানিয়েছেন, রাশিয়া যদি ইউক্রেনের দিকে ফের সেনা অগ্রগতি বাড়ায় তা হলে তার যোগ্য জবাব দিতে প্রস্তুত আমেরিকা। তৈরি রয়েছে তাদের সহযোগীরাও।
ইতিমধ্যেই তাদের সীমান্ত অঞ্চল ঘিরে ফেলেছে লক্ষাধিক রুশ সেনা, দাবি ইউক্রেনের। কূটনীতিক স্তরে মনে করা হচ্ছে, বছরের প্রথমার্ধেই বড়সড় হামলা চালানোর ছক রয়েছে মস্কোর। বিষয়টি এড়াতে আমেরিকা এবং তাদের ইউরোপীয় সহযোগীরা বার বার তাদের সক্রিয়তার কথা জানিয়েছে। সেই প্রসঙ্গই জ়েলেনস্কির কাছে ফের তুলে ধরলেন বাইডেন। সঙ্গে ইউক্রেনের ‘সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডটা’ অক্ষুণ্ণ রাখার বিষয়টিও তুলে ধরেন তিনি। এ বিষয়ে জ়েলেনস্কি প্রশাসনের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে পদক্ষেপ প্রয়োজন সব ক্ষেত্রেই তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন বাইডেন।
উল্টো দিকে, গত ৩০ ডিসেম্বরই পুতিনের সঙ্গে কথা হয়েছে বাইডেনের। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, সেই কথোপকথনের ফাঁকে বাইডেন স্পষ্ট করে দেন, ইউক্রেন সমস্যার দু’টি মাত্র সমাধান হতে পারে, এক, কূটনীতিক আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়া। দুই, সামরিক ভাবেই এর বিরোধিতা করা। ডিসেম্বরের গোড়াতে কথা হয়েছিল জ়েলেনস্কি-বাইডেনেরও সেখানে স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, ‘কোনও দেশই অন্য দেশকে তাদের সীমান্ত বদলে ফেলার জন্য চাপ দিতে পারে না।’