ট্রাম্পের জয়ে যে আমেরিকার অনেক মানুষই খুশি নন, তার আঁচ মিলেছিল দেশজোড়া বিক্ষোভ থেকেই। এ বার আমেরিকার শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের বার্তাও সেই ইঙ্গিত দিল।
এ বারের ভোট যে দেশ জুড়েই অসহিষ্ণুতার জন্ম দিয়েছে, সে কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়ে ক্যাম্পাসের সকলকে ই-মেল পাঠিয়েছেন বার্কলে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর নিকোলাস বি ডার্কস। সেখানে তিনি জানিয়েই দিয়েছেন, এ বারের ভোটের ফল রাজনৈতিক মতামত নির্বিশেষে, তাঁদের সবার কাছে ‘আশ্চর্যজনক’। ক্যাম্পাস কমিউনিটি হিসেবে এই পরিস্থিতিতে সকলকে এক থাকার এবং যাঁরা এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত হতে পারেন, তাঁদের সকলের পাশে দাঁড়ানোর, সকলকে অন্তর্ভুক্তিকরণের বার্তা দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে নামে ই-মেল বার্তায় বলা হয়েছে যে কোনও রকম ধর্মান্ধতা ও ঘৃণা ছড়ানোকে তাঁরা সমর্থন করেন না, এবং তাঁদের ক্যাম্পাস যে নিরাপদ তাও জানিয়ে দিয়েছেন।
ভোটের আগে ট্রাম্প যে ভাবে নারী, মুসলিম, শরণার্থী-সহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষদের প্রতি ঘেন্না উগরে দিয়েছিলেন, তাতে তাঁর জয়ের পরে আতঙ্কিত হয়তো আমেরিকায় পড়তে আসা বহু ছাত্রছাত্রী। তা আঁচ করেই সমতা, সহিষ্ণুতা, ঐক্যের বার্তা দেওয়া হয়েছে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকেও। শুধু ডার্কসই নন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট জানেট নাপোলিটানোও ই-মেল বার্তায় জানিয়ে দিয়েছেন, ভোটের ফলের জেরে যে অনেকের মনে উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তা থাকতে পারে তা নিয়ে তাঁরা অবগত। তবে তাঁদের ক্যাম্পাস যে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে বরাবর বৈচিত্রকে সমর্থন করেছে এবং যে কোনও রকম অসহিষ্ণুতা থেকে সকলকে রক্ষা করবে, তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি স্পষ্টই জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় এমন এক পরিবেশ তৈরি করতে চায়, যা সকলকে কাছে টেনে নেবে।