হেনস্থা এ ভাবেই। ছবি: টুইটার।
এক দিনেই সুর বদল। শিকাগো থেকে কেন্টাকির লুইসভিলগামী বিমান থেকে এক যাত্রীকে জোর করে নামিয়ে দেওয়া নিয়ে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছিল উড়ান সংস্থা ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স। রবিবারের এই ঘটনায় প্রথমে সে ভাবে দুঃখপ্রকাশ করেননি সংস্থার প্রধান। শুধুমাত্র অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়ার জন্য খেদোক্তি শোনা যায় সংস্থার মুখপাত্রের মুখে।
তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি ভাইরাল হয়ে যেতেই চাপের মুখে ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স-এর সিইও অস্কার মুনোজ সংশ্লিষ্ট যাত্রীকে নিয়ে মন্তব্য করেছেন, ‘‘কারও সঙ্গে এমন দুর্ব্যবহার করা উচিত নয়।’’ যাত্রীদের সঙ্গে আচার-ব্যবহার নিয়ে সংস্থার নীতি ফের খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
কেন্টাকির এলিজাবেথটাউনের বাসিন্দা ডেভিড ডাও (৬৯) নামে ওই চিকিৎসককে হেনস্থার ঘটনার আর একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। যাতে দেখা গিয়েছে, ডেভিডকে জোর করে টেনে নিয়ে যাওয়ার সময় সিটের হাতলে মুখ লেগে জখম হয়েছেন তিনি। মুখ থেকে রক্ত বেরোচ্ছিল, সেটা অবশ্য আগেও বলা হয়েছিল। এই ভিডিও ছড়াতেই ক্ষমা চেয়েছেন সংস্থার সিইও। যদিও আগে উনি ওই যাত্রী সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘উনি বিশৃঙ্খল এবং হিংস্র।’ এ দিন অবশ্য মুনোজ বলেছেন, ‘‘বিমানে যা হয়েছে, তা নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন। যে যাত্রীকে বের করে দেওয়া হয়েছে, তাঁর কাছে এবং অন্য সব যাত্রীর কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।’’ পরিষেবা সংক্রান্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখে তিনি ৩০ এপ্রিলের মধ্যে পদক্ষেপ করবেন।