ইমরান খান।—ফাইল চিত্র।
যাচ্ছেন না নরেন্দ্র মোদী। পাক প্রধানমন্ত্রী পদে ইমরান খানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যাবেন না আমির খানও। কপিল দেব এবং সুনীল গাওস্করের যাওয়া নিয়েও ধোঁয়াশা।
পাকিস্তান তেহরিক-এ-ইনসাফ (পিটিআই) আজ জানিয়েছে, কোনও বিদেশি রাষ্ট্রনেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না শপথগ্রহণে। ওই অনুষ্ঠান যথাসম্ভব অনাড়ম্বর ভাবে করারই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। তবে ইমরানের কয়েক জন ‘ব্যক্তিগত বন্ধু’ থাকছেন আমন্ত্রিতের তালিকায়।
পিটিআই-এর মুখপাত্র ফওয়াদ চৌধরি গত কাল বলেছিলেন, সুনীল গাওস্কর, কপিল দেব, নভজ্যোত সিধু এবং আমির খানকে শপথে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন তাঁরা। কাজেই ধরে নেওয়া যায়, ‘বন্ধু’ বলতে এঁদেরই বুঝিয়েছে ইমরানের দল। অথচ আমির এবং কপিলের দাবি, কোনও আমন্ত্রণপত্র আসেনি তাঁদের কাছে। গাওস্করের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। একমাত্র সিধু সাংবাদিক বৈঠকে আমন্ত্রণ গ্রহণ করার কথা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রনায়করা নন, বিদেশি বন্ধুরাই হাজির থাকবেন ইমরানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে
তা হলে কি সবাই চিঠি পাননি? অনেকের মতে, পিটিআই মুখপাত্র সম্ভবত চার কৃতী ভারতীয়কে আমন্ত্রণের খবরটাই গত কাল মৌখিক ভাবে জানিয়েছিলেন। চিঠি হয়তো এখনও তৈরি নয়। কপিল বলেছেন, নিমন্ত্রণপত্র পেলে তিনি ভারত সরকারের অনুমতি চাইবেন। ছাড়পত্র মিললে তবেই যাবেন শপথে। কিন্তু আমির জানিয়েই দিয়েছেন, তিনি যেতে পারছেন না। একটি পাক চ্যানেলকে তিনি বলেছেন, ‘‘দশ হাজার কৃষককে নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করছি ১২ অগস্ট। সেটা নিয়েই ব্যস্ত রয়েছি।’’ ইমরানের শপথ হওয়ার কথা ১১ অগস্ট।
পাক সংবাদমাধ্যমের একাংশের বক্তব্য, ইমরানের হয়তো ইচ্ছে ছিল মোদীকে ডাকার, কিন্তু েদশের ‘একটি ক্ষমতাশালী অংশের’ চাপও রয়েছে তাঁদের উপরে। এমনকি শপথ অনুষ্ঠান ১৪ অগস্টের পরে হতে পারে বলেও রয়েছে জল্পনা।