দাউদ ইব্রাহিম এবং হাফিজ সইদ। ফাইল চিত্র।
একটা কাটতে না কাটতেই ফের নতুন ধাক্কার মুখে পাকিস্তান। মার্কিন বিদেশ দফতরের প্রকাশিত জঙ্গিসংগঠনের তালিকায় হাফিজ সইদের রাজনৈতিক দল মিল্লি মুসলিম লিগের নাম ওঠার পর চব্বিশ ঘণ্টাও কাটল না। এবার রাষ্ট্রপুঞ্জের সন্ত্রাসবাদী তালিকায় উঠল পাকিস্তানে বসবাসরত ১৩৯ জনের নাম। এদের মধ্যে ভারতের মাটিতে একের পর এক হামলার চক্রী হাফিজ সইদ, দাউদ ইব্রাদিমের মতো কুচক্রীরা রয়েছে। ফলে দাউদ পাকিস্তানেই রয়েছে বলে যে দাবি করে আসছে দিল্লি, সেই দাবি আরও জোরালো হল বলেই ধারণা।
পাকিস্তানের ‘ডন’ সংবাদপত্র জানিয়েছে, সে দেশের মাটিকে ব্যবহার করে যে সন্ত্রাস ছড়ানো হচ্ছে, সেটা রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্টে খোলাখুলি ভাবে জানানো হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘‘পাকিস্তানের করাচিতে দাউদ ইব্রাহিমের বিলাসবহুল প্রাসাদ রয়েছে।’’ রাষ্ট্রপুঞ্জের তালিকায় লস্কর-ই-তৈবা প্রধান হাফিজের সইদের পাশাপাশি রয়েছে তারই তিন জন ঘনিষ্ঠ সহযোগীর নাম। হাজি মহম্মদ মুজাহিদ, আবদুল সালাম এবং জাফর ইকবাল। তিন জনই ইন্টারপোলের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় রয়েছে।
ডনে প্রকাশিত খবর অনুয়ায়ী, রাষ্ট্রপুঞ্জের তালিকার একেবারে শুরুতেই রয়েছে ‘দ্বিতীয় লাদেন’ হলে পরিচিত আয়মান আল জওয়াবিরির নাম। কিন্তু কোথায় রয়েছেন জওয়াহিরি? রাষ্ট্রপুঞ্জের ধারণা, হয়তো বা পাক-আফগান সীমান্তবর্তী কোনও এলাকায়।
আরও পড়ুন: মার্কিন জঙ্গি তালিকায় হাফিজের দল, খুশি দিল্লি
আরও পড়ুন: মহিলা বন্দুকবাজের হামলায় রক্তাক্ত ইউটিউবের সদর দফতর
কিন্তু এরপর? রাষ্টপুঞ্জের নয়া তালিকা যে পাকিস্থানকে চাপে ফেলে দেবে, তাতে সন্দেহ নেই বিন্দুমাত্র। তবে এরপরেও কি দাউদ কিংবা হাফিজের মতো জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে? অনেকেই যদিও বলছেন, জঙ্গিদের স্বর্গরাজ্য থেকে জঙ্গিবাহিনীকে বিচ্যুত করার মতো শক্তি নেই পাক প্রশাসনের।