প্রতীকী ছবি।
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বৃহস্পতিবার ভোররাতে ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণার পরেই নতুন করে আর্থিক নিষেধাজ্ঞার কোপে পড়েছে রাশিয়া। সে দেশের বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক, সরকারি-বেসরকারি আর্থিক সংস্থা এমনকী বেশ কয়েক জন রুশ শিল্পপতি এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনে বিধিনিষেধ জারি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ক্রিপ্টোকারেন্সির উপর নির্ভর করেই আর্থিক নিষেধাজ্ঞার থাবা থেকে রেহাই পেতে চাইছে রুশ বণিকমহল। এ ক্ষেত্রে তাঁদের বড় সহায় বিটকয়েন।
ইতিমধ্যেই আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপান-সহ একাধিক দেশ ইউক্রেন সঙ্কটের জেরে রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। রাশিয়ার বেশ কয়েকটি সরকারি-বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং শিল্পপতির সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা হয়েছে। এমনকি, কয়েকটি দেশ রাশিয়ান পর্যটকদের উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কিন্তু তাতে প্রাথমিক ভাবে কিছুটা অসুবিধায় পড়লেও বিটকয়েনকে হাতিয়ার করে রুশ নাগরিকদের অনেকেই সেই নিষেধাজ্ঞা এড়াতে সক্ষম হবে বলে মনে করছেন ডিজিটাল মুদ্রা বিশাদরদের একাংশ।
ডিজিটাল মুদ্রা বিশেষজ্ঞ রস এস ডেলস্টন বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই রুশ নাগরিকদের মধ্যে ক্রিপোকারেন্সিতে বিনিয়োগের প্রবণতা বেড়েছে। ভবিষ্যেতের ঝুঁকি এড়াতে তাঁরা বিটকয়েনের উপর নির্ভর করছেন।’’ তিনি জানান, আমেরিকা এই সমস্যা সম্পর্কে ভালভাবে অবগত। কারণ, কয়েক মাস আগেই সে দেশের অর্থদফতরের একটি সতর্কবার্তায় বলা হয়েছিল, ডিজিটাল মুদ্রাগুলি আমেরিকান নিষেধাজ্ঞার কার্যকারিতা কমিয়ে দিচ্ছে। নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানগুলি যাতে প্রথাগত আর্থিক ব্যবস্থার বাইরে তহবিল সঞ্চয় এবং স্থানান্তর করতে না পারে সে বিষয়ে কার্যকরি পদক্ষেপের কথাও বলা হয়েছিল ওই সতর্কবার্তায়।