ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি। —ফাইল চিত্র।
আমেরিকার সঙ্গে হাত মিলিয়ে এ বার নিজেদের দেশেই তাঁরা অস্ত্র তৈরি করবেন বলে জানালেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি। রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভার বিশেষ অধিবেশনে অংশ নিতে নিউ ইয়র্কে এসেছিলেন জ়েলেনস্কি। এর পরে ওয়াশিংটনে গিয়ে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে আলাদা বৈঠকও সারেন তিনি। তার পরেই দেশবাসীর উদ্দেশে রুটিন ভাষণে তিনি জানান, আমেরিকার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ইউক্রেনের মধ্যেই অস্ত্র তৈরির পরিকাঠামো তৈরি করার কথা ভাবা হয়েছে। এর ফলে তাঁদের আকাশপথে হামলা প্রতিরোধ ব্যবস্থা আরও জোরদার হবে বলে দাবি করেছেন জ়েলেনস্কি।
দীর্ঘ সময় ধরে চলা রুশ হামলায় অর্থনৈতিক ভাবে পুরোপুরি বিধ্বস্ত ইউক্রেন। দেশেই অস্ত্র তৈরির কারখানা তৈরি হলে বহু বেকার যুবক চাকরি পাবেন এবং দেশের আর্থিক পরিকাঠামোর উন্নয়ন হবে বলেও জানিয়েছেন জ়েলেনস্কি। তাঁর কথায়, ‘‘এই ওয়াশিংটন সফর খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এর ফলাফল খুবই তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে।’’ এর পরেই আমেরিকার সঙ্গে অস্ত্র তৈরির চুক্তির উল্লেখ করেন তিনি। জ়েলেনস্কি আরও বলেছেন, ‘‘আমরা আমেরিকার হাত ধরে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নতুন বাস্তুতন্ত্র তৈরি করতে চলেছি। এর ফলে আমাদের স্বাধীনতার জন্য লড়াই আরও জোরদার হবে এবং জীবন রক্ষা আরও সহজ হবে।’’
জ়েলেনস্কির সঙ্গে বাইডেনের বৈঠকের পরেই নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাইডেন প্রশাসনের এক আধিকারিক প্রথম সারির এক আমেরিকান সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ইউক্রেনকে দূরপাল্লার এটিএসিএমএস (আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম) ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেনি কোনও পক্ষই। তবে এই নতুন ক্ষেপণাস্ত্র হাতে পেলে রাশিয়ার ভূখণ্ডের ৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ভিতরে লক্ষ্যবস্তুকে খুব সহজেই আঘাত করতে পারবে ইউক্রেন। গত কাল রুশ অধিকৃত ক্রাইমিয়া উপদ্বীপের সেভাস্টোপোলে রুশ নৌসেনার সদর দফতরে ইউক্রেন যে দু’টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল, সেই দু’টো ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনীয় বাহিনীকে ব্রিটেন এবং ফ্রান্স পাঠিয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। ওই হামলায় হতাহতদের নিয়ে মুখ খোলেনি রাশিয়া সরকার। তবে ইউক্রেনের গোয়েন্দা বাহিনীর তরফে দাবি করা হয়েছে, কালকের ওই হামলায় কম করে ৯ জন রুশ সেনার মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১৬ জন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন কমান্ডার পদের আধিকারিকেরাও।