প্রতীকী ছবি
প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঋষি সুনককে ঘিরে বিতর্কের ঝড় এখনও শান্ত হয়নি। তার মধ্যেই লন্ডনের ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের পরবর্তী বাসিন্দাকে বেছে নেওয়ার পথে হাজির আরও এক গতিরোধক। গোয়েন্দাদের দাবি, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ভোটদান প্রক্রিয়া ঘিরে এ বার নাকি দেখা দিয়েছে সাইবার হানার আশঙ্কা!
গোয়েন্দাদের তরফে এই সংক্রান্ত সতর্কবাণী পেয়ে ব্রিটেনের ন্যাশনাল সাইবার সিকিয়োরিটি সেন্টার (এনসিএসসি)-এর নির্দেশে, মঙ্গলবার পিছিয়ে দেওয়া হল কনজ়ার্ভেটিভ পার্টির সদস্যদের ভোটদান প্রক্রিয়া।
জানা যাচ্ছে, গভর্নমেন্ট কমিউনিকেশন হেডকোয়াটার্স বা জিসিএইচকিউ গোয়েন্দা সংস্থার দাবির ভিত্তিতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। বিশ্ব জুড়ে জাল ছড়ানো রয়েছে জিসিএইচকিউ-এর। ব্রিটেন সংক্রান্ত যে কোনও রকমের আশঙ্কার বার্তা শনাক্তকরণ এবং তা প্রতিহত করাই তাদের কাজ। সম্প্রতি তারা জানতে পারে, হ্যাকারেরা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন সংক্রান্ত ব্যালট পরিবর্তন করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তৎক্ষণাৎ এই মর্মে সতর্কবার্তা জারি করে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে তারা। পাশাপাশি ভোটদান প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত রাখাই মঙ্গল বলে উপদেশ দেওয়া হয় তাদের তরফে। যদিও এই হ্যাকারেরা কারা, তা এখনও স্পষ্ট করেননি গোয়েন্দারা। তবে তাঁরা জানিয়েছেন, ভোট-প্রক্রিয়া ঘিরে কিছুটা অনিশ্চয়তা তৈরি হলেও এই ‘হানা’ নিয়ে ব্রিটেনের অন্যান্য ক্ষেত্রে কোনও ভয় নেই।
বরিস জনসনের উত্তরসূরি হয়ে ওঠার দৌড়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনক এবং বিদেশমন্ত্রী লিজ় ট্রাসের। এখনও পর্যন্ত লিজ় এগিয়ে বলেই উঠে আসছে বিভিন্ন সমীক্ষায়। যদিও বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, আগামী ৫ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার পরে এই চিত্রে বদল এলেও তেমন অবাক হবেন না তাঁরা।
তার আগে এই সাইবার হানার আশঙ্কার জের বিলম্বিত করে দিল ভোটদান। মঙ্গলবার কনজ়ার্ভেটিভ দলের তরফে জানানো হয়েছে, দলের সদস্যেরা আগামী দিনে আর তাঁদের ভোট পরিবর্তন করতে পারবেন না। দলের কমপক্ষে ১,৬০,০০০ সদস্যদের পোস্টাল ব্যালট পাঠানোর কাজও এখনও বাকি, যা এই সোমবারের মধ্যে শেষ করার কথা ছিল। তবে এখন তা করতে করতে ১১ অগস্ট পেরিয়ে যেতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
হ্যাকারদের গতিবিধি নির্বাচন প্রক্রিয়াটিকে বড়সড় ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারত, তবে তা সময় মতো শনাক্ত করা গিয়েছে বলেই দাবি এনসিএসসি-র। তাদের মুখপাত্রের কথায়, ‘‘ব্রিটেনের গণতান্ত্রিক এবং নির্বাচন সংক্রান্ত সব প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে যাবতীয় সমস্যা প্রতিহত করাই এনসিএসসি-র অগ্রাধিকার। ...এই কারণেই ব্রিটেনের জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ হিসেবে কনজ়ার্ভেটিভ দলকে ভোট প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি আমরা।’’