ক্ষমা চাইবে না ব্রিটেন

পার্লামেন্টের ওয়েস্টমিনস্টার হল-এ বিষয়টি নিয়ে হাউস অব কমন্সের বিতর্ক ছিল আজ। প্রস্তাব এনেছিলেন কনজারভেটিভ পার্টিরই এক এমপি। কিন্তু ব্রিটিশ বিদেশ মন্ত্রকের এশিয়া-প্যাসিফিক বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী মার্ক ফিল্ড বলেন, ক্ষমা চাওয়ার সঙ্গে আর্থিক দায়বদ্ধতা জড়িত।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লন্ডন শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০১৯ ০২:২২
Share:

জনমত: ব্রেক্সিট নিয়ে দ্বিতীয় গণভোটের দাবিতে পথনাটিকা। মঙ্গলবার লন্ডনে। এপি

দলমত নির্বিশেষে দাবি তুলেছিলেন ব্রিটিশ এমপি-দের অনেকে। তা সত্ত্বেও জালিয়ানওয়ালা বাগ হত্যাকাণ্ডের জন্য আপাতত ক্ষমা চাইল না টেরেসা মে সরকার।

Advertisement

পার্লামেন্টের ওয়েস্টমিনস্টার হল-এ বিষয়টি নিয়ে হাউস অব কমন্সের বিতর্ক ছিল আজ। প্রস্তাব এনেছিলেন কনজারভেটিভ পার্টিরই এক এমপি। কিন্তু ব্রিটিশ বিদেশ মন্ত্রকের এশিয়া-প্যাসিফিক বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী মার্ক ফিল্ড বলেন, ক্ষমা চাওয়ার সঙ্গে আর্থিক দায়বদ্ধতা জড়িত। তা ছাড়া মন্ত্রী, শীর্ষ কর্তারা এবং নয়াদিল্লির ব্রিটিশ হাইকমিশনার বিষয়টি নিয়ে এখনও কাজ করছেন। আগামী ১৩ এপ্রিল ওই মর্মান্তিক ঘটনার শতবর্ষ। ভারতের ব্রিটিশ হাইকমিশনের প্রতিনিধিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, জালিয়ানওয়ালা বাগে ফুল দিয়ে আসার জন্য। মন্ত্রী বলেন, ‘‘এ এক লজ্জার অধ্যায়। ব্রিটিশ সরকার ঠিক সময়েই তার নিন্দা করেছিল। এ বারও গভীর শোকের সঙ্গে শতবর্ষ পালিত হবে ব্রিটেনে।’’ কিন্তু দাবি তো ছিল সরকারি ভাবে ক্ষমা চাওয়ার। সেই পথে কেন হাঁটতে নারাজ ব্রিটেন?

অনেকের মতে, ব্রিটিশ পাঠ্যসূচিতে পঞ্জাবের ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার অন্তর্ভুক্তি, হতাহতদের উত্তরাধিকারীদের জন্য ক্ষতিপূরণ, ইত্যাদি দাবি আজকের বিতর্কে ওঠে। অনেকের মতে, সেই কারণেই মন্ত্রী আর্থিক প্রসঙ্গ টেনেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমি একটু গোঁড়ামনস্ক। ঔপনিবেশিক ইতিহাসের জন্য ক্ষমা চাইতে আমারও একটু অনীহা। তা ছাড়া সরকারি দফতরের ক্ষমা চাওয়ার সঙ্গে আর্থিক দায়বদ্ধতা চাপতে পারে বলেও একটা চিন্তা রয়েছে।’’ এই যুক্তিতে হতাশ অনেকেই।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement