ছবি: রয়টার্স।
কোভিডের থাবা ক্রমশ হালকা হওয়ার স্বস্তি। আবার তারই পাশাপাশি সংক্রমণ ফিরে আসার আশঙ্কায় সতর্কতা— এই দুই নিয়েই লকডাউন-এর এক বছর পেরোলো উহানে। চিনের হুবেইয়ের এই প্রদেশটিকেই কোভিড সংক্রমণের কেন্দ্র বলে জানে গোটা পৃথিবী। এক বছর আগে এই উহানই তার এক কোটির বেশি বাসিন্দা ‘গৃহবন্দি’ থাকার নির্দেশ দিয়ে চমকে দিয়েছিল বিশ্বকে। এবং ৭৬ দিনের সেই আতঙ্কের লকডাউন জারি করা হয়েছে কোভিড সংক্রমণের শৃঙ্খলকে ভেঙে দেওয়ার জন্য। যা ধীরে ধীরে অনুসরণ করতে হয় গোটা বিশ্বকেই।
করোনার ধাক্কায় বিশ্বের বহু দেশে লকডাউন ফিরে এলেও এক বছর আগের সেই ‘বন্দি শহর’ উহান এখন দিব্যি জমজমাট। রাস্তাঘাটে গাড়ির আওয়াজ, যানজট, যাত্রী ঠাসা গণপরিবহন, পার্কগুলি দেখে বোঝার উপায় নেই এই সেই উহান। তবে চিনের সর্বত্র ছবিটা এক নয়। দেশের বহু জায়গাতেই স্থানীয়ভাবে সংক্রমণ এতই বেড়েছে যে ফিরে এসেছে লকডাউন। বেজিংয়ের বহু জায়গায় চলছে গণ-করোনা পরীক্ষা। তবে সংক্রমণ বাড়ায় লকডাউন জারি করেছে হংকং সরকার।
এ দিকে, করোনা নতুন স্ট্রেনের দাপটে কাবু ব্রিটেন। শুক্রবার দেশে নতুন করে ১৪০১ জনের মৃত্যু হওয়ায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৯৬ হাজারের কাছাকাছি, যা ইউরোপে সর্বোচ্চ। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এর জন্য ভাইরাসের নতুন স্ট্রেনকেই দায়ী করছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই স্ট্রেনটি আরও বেশি প্রাণঘাতী ও সংক্রমক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছেন, চিন-সহ ৬০টির বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এটি। গত এক সপ্তাহে মৃতের সংখ্যা ১৬ শতাংশ বেড়েছে। এবং এপ্রিলে অতিমারির প্রথম ধাপের তুলনায় হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন প্রায় দ্বিগুণ আক্রান্ত। বিজ্ঞানীদের একাংশও বলছেন, দ্বিতীয় প্রকারের এই স্ট্রেন কোনও কোনও বয়সের রোগীদের জন্য ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বেশি প্রাণঘাতী।
বহু ব্রিটিশ চিকিৎসকের মত, প্রতিষেধকের প্রথম ডোজ় নেওয়ার ১২ সপ্তাহ পরে দ্বিতীয় ডোজ় দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত সরকার নিয়েছে তা অবিলম্বে সংশোধন করা হোক। কারণ, টিকা প্রস্তুতকারক ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা উভয়েই বলছে, দুটি ডোজ়ের মধ্যে সময়ের ব্যবধান কম থাকাই শ্রেয়। আসলে, টিকাকরণ প্রক্রিয়া দ্রুত করতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষকে দ্রুত প্রথম ডোজ়টি অন্তত দেওয়ার জন্য এই নীতি নিয়েছে বরিস সরকার। হোয়াইট হাউস সূত্রের খবর, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অভিষেকের সময়ে তাঁর সুরক্ষায় নিযুক্ত জাতীয়
নিরাপত্তা বাহিনীর ১৫০ সদস্য করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।