সেই ভিডিওর একটি অংশে দুই ভাই।
বয়স মাত্র দু’বছর। যমজ ভাই। আপনমনে খেলছিল ঘরে। কিন্তু দুষ্টুবুদ্ধি যাবে কোথায়? খেলতে খেলতে দু’জনে একটা কাবার্ডের ওপর ওঠার চেষ্টা করে। টাল সামলাতে না পেরে পরে যায় দু’জনেই। এর পরই ঘটে বিপত্তি। এক ভাই উঠে দাঁড়াতে পারলেও আর একজন চাপা পড়ে যায় কাবার্ডের তলায়। বেরিয়ে আসার চেষ্টাও করে ব্যর্থ হয়ে চিত্কার করে কাঁদতে থাকে শিশুটি। কিছুক্ষণ এদিক-ওদিক ঘোরাঘুরি করে হঠাত্ যেন বুদ্ধি খেলে যায় আর এক ভাইয়ের। সে কোনওরকমে ঠেলে কাবার্ড সরিয়ে ফেলে। মিনিট দু’য়েক পরে তার তলা থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয় চাপা পড়া শিশুটি। গোটা ঘটনাটি ফ্রেমবন্দি হয় ঘরে রাখা সিসিটিভিতে। আর এই ভিডিওটি গত মঙ্গলবার থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। কী ভাবে এক ভাইয়ের চেষ্টায় অপর ভাই রক্ষা পেল তা ইতিমধ্যেই দেখেছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে ভিডিওটি শেয়ারের সংখ্যা।
আদতে ঘটনাটি দিন কয়েক আগের মার্কিন মুলুকের উটার। ওই যমজ শিশুর মা কাইলি শফ সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, সে দিন তিনি পাশের ঘরেই ছিলেন। কিন্তু কাবার্ডটি পড়ে যাওয়ার কোনও শব্দ পাননি। এমনকী ছেলের কান্নার আওয়াজও পৌঁছয়নি তাঁর কানে। সব কিছুই তিনি সিসিটিভি ভিডিও দেখে জেনেছেন।
আরও পড়ুন, ট্রাম্পের দায়িত্ব নেওয়ার অনুষ্ঠানে থাকছে বলিউডি চমক
গত রবিবার ফেসবুকে এই ভিডিওটি শেয়ার করেছেন ওই যমজ শিশুর বাবা। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে এখন ভাল আছেন। তবে আর এক ছেলের কৃতিত্বের কথা জানাতে তাঁর ওই ফেসবুক পোস্ট নয়। বরং এই ধরনের কাবার্ড সবসময় দেওয়ালে লাগিয়ে নেওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি। তা না হলে ফল যে মারাত্মক হতে পারে, তার প্রমাণ দিতেই ভিডিওটি শেয়ার করেছেন তিনি।