—প্রতীকী ছবি।
বুধবার সকালে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল আফগানিস্তান। ৩০ মিনিটের মধ্যে পর পর দু’বার কম্পন হয় সেখানে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি সূত্রে জানা গিয়েছে প্রথম কম্পনের উৎসস্থল আফগানিস্তানের ফয়জাবাদ এলাকা থেকে ১০০ কিলোমিটার পূর্বে। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের তীব্রতা ৪.৪। বুধবার রাত ১২টা ২৮ মিনিটে এই কম্পন অনুভূত হয়।
প্রথম কম্পনের ঠিক আধ ঘণ্টার মধ্যেই দ্বিতীয় বার কেঁপে ওঠে আফগানিস্তানের মাটি। রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে দ্বিতীয় কম্পন অনুভূত হয়। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি সূত্রে খবর, দ্বিতীয় কম্পনের তীব্রতা ৪.৮। ফয়জাবাদ থেকে ১২৬ কিলোমিটার পূর্ব দিকে দ্বিতীয় কম্পনের উৎসস্থল বলে ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি সূত্রে জানা গিয়েছে। পর পর দু’বার কম্পনের পরে হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর ভূমিকম্প হয়েছিল আফগানিস্তানে। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের তীব্রতা ছিল ৫.২। গত বছর অক্টোবর মাসে প্রবল ভূমিকম্প এবং শক্তিশালী ভূকম্প পরবর্তী কম্পনে (আফটারশক) কেঁপে উঠেছিল আফগানিস্তান। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.৩। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, ভূমিকম্পের ফলে প্রাণ হারিয়েছিলেন ১০ জনেরও বেশি। দু’দশক আগে আফগানিস্তানে ভূমিকম্পের ফলে মারা গিয়েছিলেন দু’হাজার জন।
বছর শুরুতেই সোমবার দুপুরে ভূমিকম্প হয়েছিল জাপানে। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের তীব্রতা ছিল ৭.৫। সোমবার দুপুর থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত মৃদু এবং মাঝারি মাত্রার কম্পনে ১৫৫ বার কেঁপে উঠেছে জাপান। এগুলির মধ্যে রিখটার স্কেলে কম্পনের সর্বোচ্চ যে মাত্রা ধরা পড়েছে, তা হল ৭.৬। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কম্পনের মাত্রা ৬। অন্য কম্পনগুলির অধিকাংশেরই মাত্রা ৩ বা তারও কম। ভূমিকম্পের পরেই জাপানের বেশ কয়েকটি উপকূল এলাকায় সুনামি সতর্কতা জারি হয়। আশঙ্কাকে সত্যি করে সে দেশের পশ্চিম উপকূল সংলগ্ন একাধিক শহরে ফুঁসে ওঠে সমুদ্র। কোথাও কোথাও ঢেউয়ের উচ্চতা চার ফুট পর্যন্ত ওঠে।