মিলেমিশে: টার্নার পুরস্কারের মঞ্চে চার শিল্পী। এপি
ব্রেক্সিট-বিতর্কে বিভক্ত ব্রিটেনে ‘এক সঙ্গে আছি’ বার্তা দিলেন দেশের চার শিল্পী। তাঁদের সেই ইচ্ছেকে সম্মান জানিয়ে এ বছর ব্রিটেনের সব থেকে নামজাদা শিল্প পুরস্কার ‘টার্নার প্রাইজ়’ যুগ্ম ভাবে তুলে দেওয়া হয়েছে চূড়ান্ত তালিকার চার শিল্পীর হাতে।
লরেন্স আবু হামদান, হেলেন ক্যামক, অস্কার মুরিলো এবং তাই শানি— এই চার শিল্পী কয়েক দিন আগে টার্নার পুরস্কারের বিচারকমণ্ডলীকে চিঠি আর্জি জানিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে কোনও এক জন নয়, পুরস্কার ভাগ করে দেওয়া হোক চার জনের মধ্যে। চিঠিতে তাঁরা লিখেছিলেন, ‘‘আমরা আমাদের শিল্পের মাধ্যমে পৃথক পৃথক রাজনৈতিক মতবাদ তুলে ধরেছি। শরণার্থীদের অবস্থা, পিতৃতান্ত্রিক মতাদর্শ, দারিদ্র এবং রাজনৈতিক অধিকার, আমরা এক এক জন এক একটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়েছি। আপনারা যদি আমাদের মধ্যে কোনও এক জনকে বেছে নেন, তা হলে এই বার্তা যেতে পারে যে, আপনারা কোনও একটি বিষয়কে গুরুত্ব দিচ্ছেন। আমরা চাই, বিভাজনের এই ছক ভেঙে আপনারা প্রতিটি বিযয়কেই সমান গুরুত্ব দিন।’’
শিল্পীদের এই আবেদনে সাড়া দিয়ে টার্নার পুরস্কারের বিচারকেরা চার জন শিল্পীকেই যুগ্ম বিজয়ী ঘোষণা করেন। মঙ্গলবার বিকেলে সৈকত শহর মার্গেটের টার্নার গ্যালারিতে এই পুরস্কার শিল্পীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুরস্কারের ৪০ হাজার পাউন্ড চার জনের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। চার জনই জানিয়েছেন, তাঁরা কেউই বিত্তবান নন। তাই দৈনন্দিন খরচেই ব্যয় হয়ে যাবে সেই ১০ হাজার পাউন্ড।
ব্রিটেনে বসবাসকারী ব্রিটিশ শিল্পীদের জন্য এই টার্নার পুরস্কার। এ বারের চার বিজয়ীই অভিবাসীদের সন্তান। পুরস্কারপ্রাপকদের হয়ে
যুগ্ম বক্তৃতায় হেলেন ক্যামক বলেন, ‘‘বহুত্বের মধ্যে মেলবন্ধন এবং ঐক্যকে আপনারা স্বীকৃতি দিলেন, অনেক ধন্যবাদ। আর ন’দিন বাদেই এ যাবৎকালের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেবেন ব্রিটিশ নাগরিকেরা। সেই সিদ্ধান্তের আগে আপনাদের
এই পুরস্কার ভাগ করে দেওয়া সিদ্ধান্ত আসলে বিভাজন ভুলে এক হওয়ার বার্তা ছড়িয়ে দিল।’’