তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তায়িপ এর্ডোগান। —ফাইল চিত্র।
রাষ্ট্রপুঞ্জে আবারও কাশ্মীর প্রসঙ্গ উত্থাপন করলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তায়িপ এর্ডোগান। দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক শান্তি এবং সুস্থিতি বজায় রাখতে কাশ্মীর নিয়ে ভারত এবং পাকিস্তান— দুই দেশেরই কথা বলা জরুরি বলে জানিয়েছেন তিনি। আলোচনার মাধ্যমে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে উদ্যোগে তুরস্ক পাশে থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এর আগেও অবশ্য কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলেছেন এর্ডোগান।
কিছু দিন আগেই নয়াদিল্লির জি২০ শীর্ষ বৈঠকে উপস্থিত থাকতে ভারতে এসেছিলেন এর্ডোগান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে একটি পার্শ্ব বৈঠকও করেন তিনি। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় ভারত এবং তুরস্কের বাণিজ্য এবং পরিকাঠামোগত সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি করার উপরে জোর দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়ার জন্য ভারতকে ধন্যবাদও জানান তিনি।
রাষ্ট্রপুঞ্জের ৭৮ তম বার্ষিক সাধারণ সভায় এর্ডোগান বলেন, “দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক শান্তি, সুস্থিতি, সমৃদ্ধি তখনই প্রতিষ্ঠা করা যাবে যখন কাশ্মীরে স্থায়ী শান্তির পরিবেশ তৈরি করা যাবে।” আর এর জন্য ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে বার্তালাপ এবং সহযোগিতা জরুরি বলে জানিয়েছেন তিনি। এই ব্যাপারে তাঁর দেশ তুর্কিয়ে (তুরস্কের পরিবর্তিত নাম) যে দুই দেশের পাশে থাকবে, সেই ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছেন এর্ডোগান।
এর আগে ২০২২ সালে এবং ২০২০ সালেও রাষ্ট্রপুঞ্জে কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলেছিলেন এর্ডোগান। গত বছর তিনি বলেন, “এটা দুর্ভাগ্যজনক যে, স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও ভারত এবং পাকিস্তান— এই দুই দেশ নিজেদের মধ্যে শান্তি এবং সংহতি প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। আমরা আশা করব যে কাশ্মীরে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে।” ২০২০ সালে এর্ডোগানের কাশ্মীর সংক্রান্ত বক্তব্যে তীব্র আপত্তি জানিয়েছিল ভারত। ভারতের তরফে বলা হয়েছিল, অন্য দেশে (ভারত)-র সার্বভৌমত্বকে সম্মান জানানো উচিত তুরস্কের।