বিব্রত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প? -ফাইল ছবি।
তিন মাস বাদেই আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। আর ঠিক এই সময় পরিবারের সদস্যদের থেকেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে উঠে আসছে একের পর এক বিষোদ্গার। ডোনাল্ডকে ‘নিষ্ঠুর’ আর ‘মিথ্যাবাদী’ বলেছেন তাঁর ভাইঝি মেরি অ্যান ট্রাম্প আর ডোনাল্ডের সদ্য প্রয়াত ছোট ভাই রবার্ট (ব্যারি)।
ট্রাম্পের ছোট ভাই রবার্টের সঙ্গে টেলিফোনে কথোপকথনের সময়েই ট্রাম্প সম্পর্কে ওই মন্তব্য করেছিলেন তাঁর ভাইঝি। মেরি সেই কথোপকথনের গোপন রেকর্ডিং করে রেখেছিলেন। শনিবার তা ফাঁস করেছে মার্কিন দৈনিক ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বা হোয়াইট হাউসের তরফে এখনও পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
গত সপ্তাহেই মারা গিয়েছেন ট্রাম্পের ছোট ভাই রবার্ট। যাঁর ডাক নাম ছিল ব্যারি। তাঁর সঙ্গে ফোনে কথোপকথনের সময় মেরি অ্যান বলেছিলেন, ‘‘ওঁর (ডোনাল্ড) ওই সব ভন্ডামির টুইট আর মিথ্যার ফুলঝুরি, যিশু ক্ষমা কোরো।’’
কথোপকথনের একটি পর্বে ব্যারিকেও বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘ডোনাল্ড একটা পাক্কা নিষ্ঠুর লোক। তবে এই সব কথাবার্তা টেলিফোনেই সীমাবদ্ধ থাকুক। এই সব বাইরে জানাজানি না হওয়াটাই ভাল।’’
আরও পড়ুন: দাউদের ঠিকানা পাকিস্তানেই, কবুল করল ইসলামাবাদ
আরও পড়ুন: সুস্থতার হার প্রায় ৭৫ শতাংশ, ৩০ লক্ষ ছাড়াল মোট আক্রান্ত
ব্যারির সঙ্গে টেলিফোনে কথোপকথনের সময় মেরি কড়া সমালোচনা করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নতুন অভিবাসন নীতিরও। নিজের ভোটের কথা মাথায় রেখেই যে ট্রাম্প এই সব করছেন, ব্যারিকে ফোনে সে কথাও বলেন মেরি।
গোপনে রেকর্ড করা সেই টেলিফোন-কথোপকথনে মেরিকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘ওঁর (প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প) এই অভিবাসন নীতি একটা মস্তবড় চাল। উনি আসলে এই সব করে ওঁর ভোটারদের মন ভেজাতে চাইছেন। ওঁর বিন্দুমাত্র নীতিবোধ নেই। কিচ্ছু নেই।’’
গত মাসেই প্রকাশিত হয়েছে মেরির লেখা আত্মজীবনীমূলক বই। সেই বইয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পরিবারকে একটা বিষাক্ত পরিবার’ বলেছেন মেরি। এও জানিয়েছেন, একটি নামজাদা মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্কুলে পড়ার সুযোগ পেতে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উতরে যাওয়ার জন্য তিনি এক প্রভাবশালী পরীক্ষককে মোটা অঙ্কের ঘুষ দিয়েছিলেন। মেরি সে কথাও ফোনে বলেছিলেন ব্যারিকে। কাকে ঘুষ দিয়েছিলেন, তার নামও উল্লেখ করেছিলেন মেরি।
যদিও সেই বই যাতে বাজারে না আসে তার জন্য পরে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিলেন ব্যারিই। তাঁর বক্তব্য ছিল, ‘‘ঘরের কথা ঘরেই থাক, বাইরে আনার দরকার নেই’’।
বইটি প্রকাশের দিনেই সাড়ে ৯ লক্ষ কপি বিক্রি হয়েছিল। যদিও হোয়াইট হাউসের তরফে বইটিকে ‘মিথ্যায় ভরা বই’ বলে সমালোচনা করা হয়েছিল।