বিদেশ সচিব রেক্স টিলারসনের পরে এ বার মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই-এর প্রাক্তন ডেপুটি ডিরেক্টর অ্যান্ড্রু ম্যাকাবেকেও ছেঁটে ফেলল ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। তাঁর অবসর নেওয়ার ঠিক দু’দিন আগে!
হোয়াইট হাউসের দাবি, বড্ড বাড়াবাড়ি করছিলেন ম্যাকাবে। মার্কিন ভোটে রুশ হস্তক্ষেপ নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে। অথচ এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে যখন ইচ্ছে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলছিলেন তিনি। কাল রাতে এই অভিযোগ এনেই ম্যাকাবেকে বরখাস্ত করার কথা ঘোষণা করেন অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশনস।
ম্যাকাবে যদিও বলছেন, তিনি চক্রান্তের স্বীকার। রুশ-তদন্ত ধামাচাপা দিতে তাঁর উপর অনেক দিন ধরেই চাপ সৃষ্টি করছিলেন খোদ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যার জেরে জানুয়ারির শেষ দিকেই সংস্থার ডেপুটি ডিরেক্টর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। তবে এফবিআই ছাড়েননি। হিসেব মতো কাল রবিবারই তাঁর অবসর নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই চাকরি গেল। এর জেরে ম্যাকাবের পেনশনেও কোপ প়ড়তে পারে বলে আশঙ্কা কূটনীতিকদের।
আর তা থেকেই ঘুরেফিরে আসছে প্রতিহিংসার তত্ত্ব। ম্যাকাবেকে ছাঁটাই ‘গণতন্ত্রের পক্ষে একটা বড় দিন’ বলে টুইট করেছেন ট্রাম্প। গত বছর মে মাসে এফবিআই প্রধান জেমস কোমিকে সরিয়েছিলেন তিনি। পরে সে জায়গায় এনেছিলেন ক্রিস্টোফার রে-কে। মাঝের এই সময়ে ম্যাকাবেই ছিলেন এফবিআই-এর সর্বেসর্বা। শোনা যায়, রুশ তদন্ত নিয়ে যে ভাবে ম্যাকাবে এগোচ্ছিলেন, তাতে তাঁকে সরানো নিয়ে রিপালিকানদের তরফে ব্যাপক চাপ আসছিল।
২০১৬-র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট পদপ্রার্থী ছিলেন ম্যাকাবের স্ত্রী জিল ম্যাকাবে। প্রায় ৭ লক্ষ ডলারের ভোট তহবিল ছিল তাঁর। ট্রাম্পের অভিযোগ, ওটা পাইয়ে দিয়েছিলেন হিলারি ক্লিন্টন। ট্রাম্পের অসন্তোষের এটাও একটা কারণ।