লিবিয়ার ক্ষমতাচ্যুত একনায়ক মুয়াম্মর গদ্দাফির ছেলে সইফ আল-ইসলাম-সহ ৮ জনকে আজ মৃত্যুদণ্ড দিল ত্রিপোলির একটি আদালত। ২০১১-য় দেশে গদ্দাফি-বিরোধী আন্দোলন জোর করে দমন ও খুনের অভিযোগেই এই শাস্তি।
একই শাস্তি দেওয়া হয়েছে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী আল-বাগদাদি আল-মহমৌদি ও গদ্দাফির গুপ্তচর সংস্থার প্রধান আবদুল্লাহ সেনুসিকেও। এদের ফায়ারিং স্কোয়াডের সামনে দাঁড় করিয়ে মত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তবে গদ্দাফি-পুত্রকে শাস্তি দেওয়ার উপায় নিয়ে ধন্দ রয়েছে।
২০১১-য় গণঅভ্যুত্থানের জেরেই ক্ষমতাচ্যুত হন টানা চার দশকের একনায়ক গদ্দাফি। ত্রিপোলির দখল নেয় বিদ্রোহীরা। গা-ঢাকা দিতে হয় গদ্দাফিকে। শেষমেশ অবশ্য বিদ্রোহীদের হাতেই খেল খতম হয় গদ্দাফির। ধরা পড়েন তাঁর ছেলে সইফ-ও। ২০১১-র নভেম্বর থেকেই তিনি পার্বত্য জিনতান শহরে আটক অথচ লিবিয়ার বিচারাধীন বন্দি।
গত বছর এপ্রিলে ত্রিপোলির আদালতে যখন এই মামলা শুরু হয়, তখন থেকেই লিবিয়ার অন্তর্বর্তী সরকার ও হেগ আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের মধ্যে টানাপড়েনের সূত্রপাত। আদালতের দাবি, সইফকে বিচারের জন্য তাদের হাতে তুলে দেওয়া হোক। যা নিয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছে ত্রিপোলি। এ দিকে, সইফ এখন যে বিদ্রোহীদের হাতে বন্দি, তাদের মান্যতা দেয় না লিবিয়া সরকার। আন্তর্জাতিক মহলেও অনুমোদন নেই এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা নিয়ে ধন্দ সেই কারণেই।
আজও সাজা ঘোষণার সময় ত্রিপোলির আদালতে উপস্থিত ছিলেন না সইফ। আদালত সূত্রের খবর, ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে সাজা শোনানো হয় তাঁকে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলির একটা অংশ অবশ্য ত্রিপোলি আদালতের এক্তিয়ার এবং সাজা ঘোষণার পদ্ধতি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে।