যাতায়াতের সময়ও ওয়ার্কিং আওয়ার, পথ দেখাচ্ছে ইউরোপ?

ট্রেনে, বাসে বাদুড়ঝোলা হয়ে অফিসে যান তো? বাড়ি থেকে দু’ঘণ্টা আগে বেরিয়েও লাল কালি এড়াতে হিমশিম খেতে হয়? কারও ক্ষেত্রে হয়তো সময়টা আরও বেশি লাগে। দিনের শেষে হিসেব করে দেখলে কাজের জায়গায় যাতায়াত করতেই লেগে যায় ৬-৭ ঘন্টা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ১২:১৬
Share:

ট্রেনে, বাসে বাদুড়ঝোলা হয়ে অফিসে যান তো? বাড়ি থেকে দু’ঘণ্টা আগে বেরিয়েও লাল কালি এড়াতে হিমশিম খেতে হয়? কারও ক্ষেত্রে হয়তো সময়টা আরও বেশি লাগে। দিনের শেষে হিসেব করে দেখলে কাজের জায়গায় যাতায়াত করতেই লেগে যায় ৬-৭ ঘন্টা। ভাবুন তো যদি এই সময়টাও আপনার কাজের সঙ্গে যুক্ত করত কোম্পানি? ঠিক এমনই নিয়ম চালু করল ইউরোপিয়ান আদালত। আইন করেই কাজের জায়গায় যাতায়াতের সময়টাও অন্তর্ভুক্ত হল কাজের সময়ের সঙ্গে। তবে সেই ‘জার্নি’ হতে হবে অফিসের প্রয়োজনেই। বিষয়টা একটু বুঝিয়ে বলা যাক।

Advertisement

ঘটনার সূত্রপাত ২০১১-এর স্পেনে। একটি বেসরকারি নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা প্রাদেশিক অফিস থেকে তাদের সব কর্মীকে মাদ্রিদের মূল অফিসে পাঠিয়ে দেয়। এর পর ক্লায়েন্টদের বাড়ি পৌঁছতে কর্মীদের গড়ে তিন ঘণ্টার পথ পেরোতে হত। সেই সময়টা কর্মীদের কাজের সময়ের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা শুরু করে ওই সংস্থা। সেই শুরু। এর পর অনেক অন্যান্য সংস্থার কর্মীরাও এই দাবি জানাতে শুরু করেন। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ালে এই নতুন নিয়ম চালু করে ইউরোপিয়ান কোর্ট অফ জাস্টিস। যে সব কর্মীদের অফিসে বসে কাজ নয়, তারাও এই নিয়মের আওতায় পড়বেন বলে জানিয়েছে আদালত।

আইন চালু হলে তার ফাঁকও তো থাকতে পারে। সেই ‘ফাঁক’ ঢাকতে আদালত জানিয়েছে, কোনও কর্মী শুধুমাত্র অফিসের কাজে যে সময়টা বাইরে থাকছেন, সেই সময়টা তার কাজের সময়ের সঙ্গে যোগ করা হবে। এমনকী কেউ যদি বাড়ি থেকে বেরিয়ে অথবা বাড়ি ফেরার পথে অফিসের কাজ সারতে চান, সে সময়টাও এর মধ্যেই ধরা হবে। এ ক্ষেত্রে কর্মী কোন পথে যাচ্ছেন তা বিশদ ভাবে কোম্পানিকে জানাতে হবে।

Advertisement

ইউরোপ পথ দেখাল। ভারতেও এই নিয়ম চালু হবে কি?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement