ক্যালিফোর্নিয়ার শহরে টর্নেডোর তাণ্ডব। ছবি: টুইটার।
ক্যালিফোর্নিয়ায় বিধ্বংসী টর্নেডো। ঝড়ের দাপটে উড়ে গেল বাড়ির ছাদ। ভেঙেচুরে একাকার হল জানলা-দরজা থেকে শুরু করে বিলাসবহুল গাড়ি। সমাজমাধ্যমে প্রকৃতির সেই রুদ্র রূপের একাধিক ছবি এবং ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় টর্নেডোর সাক্ষী থেকেছে ক্যালিফোর্নিয়ার মন্টেবেলো শহর। রাজধানী স্যাক্রামান্টো থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরত্বে এই শহর লন্ডভন্ড করে দিয়েছে ঝোড়ো হাওয়া। একাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আহত হয়েছেন শহরের বেশ কয়েক জন বাসিন্দা।
ভিডিয়োগুলিতে দেখা গিয়েছে, কী ভাবে চারদিক কাঁপিয়ে পাক খেতে খেতে ধেয়ে আসছে হাওয়া। তার পথে যা থাকছে, তা-ই নিমেষে খড়কুটোর মতো উড়ে যাচ্ছে। একাধিক বাড়ির ছাদ খুলে উড়ে গিয়েছে টর্নেডোর হাওয়ায়। ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা টর্নেডোর সেই ভয়াবহ রূপের ছবি সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছেন। সেই সঙ্গে টর্নেডোয় নিজেদের অভিজ্ঞতার কথাও জানিয়েছেন। কেউ বলেছেন, ‘‘আমি চোখের সামনে দেখলাম, উঁচু উঁচু বহুতলের মধ্যে দিয়ে কী ভাবে ঝড় বয়ে যাচ্ছে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি চরকির মতো পাক খাচ্ছে।’’ কেউ কেউ আবার বাড়ির জানলার কাচ ভেঙে যাওয়া এবং গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা জানিয়েছেন।
ক্যালিফোর্নিয়ার আবহাওয়া অফিসের তরফে এই টর্নেডোকে অবশ্য ‘দুর্বল’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। এতে শহরের ২৫টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। সেই সঙ্গে বেশ কিছু গাছ ভেঙে পড়েছে। শক্তিশালী টর্নেডো আরও ধ্বংসাত্মক হয়। টর্নেডোকে প্রকৃতির সবচেয়ে বিধ্বংসী ঝড় হিসাবে চিহ্নিত করেন আবহবিদেরা। এই ঝড়ে ঘণ্টায় ৩০০ মাইল বেগে হাওয়া বইতে পারে। লোকালয় নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে। মঙ্গলবার ক্যালিফোর্নিয়ার টর্নেডোয় হাওয়ার বেগ ছিল ঘণ্টায় ৮৫ মাইল। তাতেই প্রকৃতির বিধ্বংসী রূপ ক্যামেরাবন্দি হয়েছে।
(এই খবর প্রথম প্রকাশিত হওয়ার সময় ক্যালিফোর্নিয়ার রাজধানী স্যাক্রামান্টোর পরিবর্তে লস অ্যাঞ্জেলেস লেখা হয়েছিল। অনিচ্ছাকৃত এই ত্রুটির জন্য আমরা আন্তরিক ভাবে দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।)