আইএস-এর হয়ে কাজ করার অভিযোগে ঢাকায় ধৃত নাহিদ হাসান। ছবি: রয়টার্স।
বাংলাদেশে পুলিশি অভিযানে খতম নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবি’র শীর্ষ সামরিক কর্তা মাহফুজ। জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ-এর (জেএমবি) কম্যান্ডার মাহফুজ আইএস-এর হয়েও কাজ করছিল বলে বাংলাদেশ সরকারের দাবি। বুধবার রাতে আচমকা অভিযান চালায় বাংলাদেশের গোয়েন্দা পুলিশ। তাতেই নিকেশ সে দেশের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি মাহফুজ ওরফে শাহাদাত।
পুলিশ সূত্রের খবর, ঢাকায় মুহররমের রাতে শিয়া সম্প্রদায়ের তাজিয়া মিছিলে গ্রেনেড হামলার পান্ডা ছিল এই মাহফুজই। ঢাকায় সাম্প্রতিক কালে হওয়া প্রায় প্রত্যেকটি আলোচিত খুনের পিছনেই একাধিক ছদ্মনাম নিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় নাশকতা চালিয়ে বেড়ানো এই মাহফুজের হাত ছিল। বলছে পুলিশ। ৪ নভেম্বর আশুলিয়ায় তল্লাশি চৌকিতে হামলা এবং তার আগে এপ্রিলে একই এলাকায় একটি ব্যাংকে ডাকাতি করে আটজনকে খুনের ঘটনায় জড়িত ছিল মাহফুজ। দাবি পুলিশের।
ঢাকা সিটি পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) জানিয়েছে, হোসেনি দালানে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় রাশেদ, সালমান-সহ চারজনকে বুধবার আটক করা হয়। জেরায় রাশেদ জানায়, বুধবার রাতে গাবতলির বেড়িবাঁধে শাগরেদদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা মাহফুজের। এই খবর পেয়েই রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ রাশেদকে সঙ্গে নিয়ে বেড়িবাঁধে যায় পুলিশ। পুলিশের গাড়ি থেকে রাশেদ নামতেই ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি ছুটে আসতে থাকে তাদের দিকে। গোয়েন্দা পুলিশও পাল্টা গুলিবর্ষণ শুরু করে। এক জন গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাকেই মাহফুজ বলে শনাক্ত করে তার শাগরেদরা। জখম মাহফুজকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।