১৯১২ সালের ১৪ এপ্রিল হিমশৈলের ধাক্কায় ডুবে গিয়েছিল আরএমএস টাইটানিক। ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটন থেকে নিউ ইয়র্ক যাওয়ার পথে অতলান্তিক মহসাগরে ডুবে প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় ১৫০০ যাত্রী। সেই জাহাজ এখনও স্বপ্ন তরণী। জাহাজ ঘিরে রয়েছে অসংখ্য মিথ। সেই মিথকেই সঙ্গী করে এ বার সাগরে ভাসবে টাইটানিক ২।
জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে ফের সমুদ্রে ভাসতে চলেছে টাইটানিক ২। তবে এ বার আরও সুসজ্জিত এবং আধুনিকতার ছোঁয়া থাকছে তার মধ্যে।
অস্ট্রেলীয় ব্যবসায়ী ক্লাইভ পামারের ব্লু স্টার লাইন সংস্থা এটিকে তৈরি করছে।
২০১২ সালে দ্বিতীয় টাইটানিক তৈরির প্রস্তাব দেন পামার। কিন্তু ২০১৫ সালে চিন সরকারের সঙ্গে তাঁর সংস্থার একটা আর্থিক চুক্তির জন্য সমস্যায় পড়েন পামার। পিছিয়ে যায় টাইটানিকের স্বপ্নও।
টাইটানিক ২ যেন প্রথম টাইটানিকেরই যমজ। কিন্তু নিরাপত্তা ও বিনোদনের কথা মাথায় রেখে অনেক কিছু রদবদল করা হয়েছে এর। রয়েছে অসংখ্য লাইফ বোট। আধুনিক উপকরণের নেভিগেশন, র্যাডারও রয়েছে এতে।
২৭০ মিটার লম্বা, ৫৩ মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট নয় ডেকের জাহাজে ৮৩৫টি কেবিন রয়েছে।
২৪৩৫ জন যাত্রী যেতে পারবেন ১৫ দিনের সফরে, থাকবেন ৯০০ জন কর্মী। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির টিকিট রয়েছে ঠিক প্রথম টাইটানিকের মতোই। প্রথম টাইটানিকের মতো এই জাহাজও যাবে ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটন থেকে নিউ ইয়র্ক পর্যন্ত।
প্রথম শ্রেণির টিকিটের মূল্য ৩৫ লক্ষ টাকার আশপাশে হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ এখনও কিছু জানাননি।
২১ বছর আগে পরিচালক জেমস ক্যামেরন ‘টাইটানিক’ তৈরি করেছিলেন। ব্লকবাস্টার এই ছবি নিয়ে উন্মাদনা এক চুলও কমেনি। অস্কারের মঞ্চে ১৪টি ট্রফিও জিতেছিল ছবিটি। তার পর এই জাহাজ নিয়ে আরও উন্মাদনা তৈরি হয়।
এই জাহাজে জেমস ক্যামেরনের ছবির মতোই ‘গ্র্র্যান্ড স্টেয়ারকেস’ রয়েছে।
ইতিমধ্যেই পুরনো টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসস্তূপের কাছে যাওয়ার জন্য, ইতিহাসকে ছুঁয়ে দেখতে একটা ‘ডাইভ’ রাইড চালু করেছে মার্কিন সংস্থা ওশেনগেট। খরচ জন প্রতি ৭৫ লক্ষ টাকা। ২০১৯ সালে শুরু হবে এটি।