—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
আমাজ়নের গভীর জঙ্গল থেকে পুরনো এক শহরের সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি-র প্রতিবেদন অনুসারে, রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে সম্প্রতি একটি প্রাচীন শহরের সন্ধান পায় বিজ্ঞানীদের একটি দল। প্রাথমিক পরীক্ষানিরীক্ষার পর মনে করা হচ্ছে, ৩০০০ বছর আগে শহরটির অস্তিত্ব ছিল। আমাজ়নের বৃষ্টিঅরণ্যে হারিয়ে যাওয়া শহরটির মতো প্রাচীন কোনও শহর কিংবা জনপদের অস্তিত্ব এখনও পর্যন্ত ওই এলাকায় আর পাওয়া যায়নি।
দক্ষিণ আমেরিকার বর্তমান মানচিত্র অনুযায়ী, প্রাচীন এই শহরটি ইকুয়েডরের অন্তর্ভুক্ত। প্রাচীন উপানো উপত্যকার নিকটবর্তী একটি আগ্নেয়গিরির পিছনে গবেষণা চালাতে গিয়ে বিশেষ কিছু জিনিস নজরে আসে বিজ্ঞানীদের। তাঁরা বিশেষ রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি ‘লিডার’-এর সাহায্য নেন। ত্রিমাত্রিক ছবিতে পুরনো শহরটির অস্তিত্ব টের পান বিজ্ঞানীরা। সড়কপথে এবং ছোট ছোট খালের মাধ্যমে অন্য বড় শহরগুলির সঙ্গে এই শহরটির যোগাযোগ ছিল বলে জানা গিয়েছে।
ফ্রান্সের বিজ্ঞানীদের দলটির প্রধান স্টিফেন রস্তেঁ বিবিসি-কে বলেন, “আমরা ইউরোপের চোখ দিয়ে এত দিন সভ্যতাকে দেখে এসেছি। কিন্তু এই ধরনের আবিষ্কার সভ্যতা এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে আমাদের ধারণা বদলে দিচ্ছে।” বিজ্ঞানীদলের আর এক সদস্য ওই প্রাচীন শহরের বৈশিষ্ট জানিয়ে বলেন, “সেখানকার অধিকাংশ মানুষ ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে থাকত। অধিকাংশ মানুষই অর্ধনগ্ন হয়ে ঘুরত। কুঁড়েঘরে বাস করত। বনজঙ্গল সাফ করে কেউ কেউ চাষাবাদ করত।”
যদিও বিজ্ঞানীদের ওই দলের তরফে জানা গিয়েছে, রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তির সাহায্যে আমাজ়নের গভীর জঙ্গলে পরীক্ষা হয়েছিল ২০১৫ সালেই। সেটির ফলাফল সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে।