International News

উপকূলে দিব্যি হেঁটে বেড়াচ্ছে মাছ, অবাক বিজ্ঞানীরা, দেখুন ভিডিও

খটখটে রোদ। সমুদ্রের পাড়ের শুকনো বালির উপর দিয়ে তড়তড়িয়ে হেঁটে বেড়াচ্ছে ছোট্ট একটি লালচে মাছ। কানকোর সামনের এক জোড়া কাঁটার মতো ‘পা’-এর উপর ভর দিয়ে হেঁটে চলেছে সে। এবং দীর্ঘক্ষণ জল ছাড়া হেঁটে বেড়ানোর পরেও দিব্যি বেঁচে আছে মাছটি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০১৭ ১১:৫২
Share:

স্বচ্ছ জলের মধ্যে হেঁটে বেড়াচ্ছে মাছটি। ছবি: ইউটিউবের সৌজন্যে।

উড়ুক্কু মাছকে দেখেছেন অনেকেই। কিন্তু এ ভাবে মাছকে ‘হাঁটতে’ দেখেছেন কখনও? মাছেদের এই ‘হাঁটা’ দেখে চক্ষু চড়কগাছ খোদ বিজ্ঞানীদেরই।

Advertisement

সমুদ্রের পাড়ের কাছেই স্বচ্ছ জলের মধ্যে বালির উপর দিয়ে তড়তড়িয়ে হেঁটে বেড়াচ্ছে ছোট্ট একটি লালচে মাছ। কানকোর সামনের এক জোড়া কাঁটার মতো ‘পা’-এর উপর ভর দিয়ে হেঁটে চলেছে সে। কিন্তু মাছের এমন আজব কাণ্ড দেখে অবাক সকলেই।

আরও পড়ুন: কোবরার সঙ্গে পাইথনের যুদ্ধ ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়

Advertisement

ঘটনাটি ঘটেছে, ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে। সেখানে এক ফরাসি স্কুবা ডাইভার এমেরিক বেনহালাসসা পুরো ঘটনাটির ভিডিও করেন। কিন্তু কমলাটে-বাদামি বর্ণের মাছটি কী প্রজাতির তা বুঝতে পারেননি এমেরিক। তিনি ভাবেন, এটি স্টিংফিশের কোনও প্রজাতি। এরপরেই ‘ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক’-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। ভিডিওটিও পাঠান তাদের। পরে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের তরফেই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়। কয়েক জন মৎস বিশেষজ্ঞের দাবি, মাছটি স্টিংফিস জেনাসের অন্তর্ভুক্ত। তবে মাছটি আসলে কোন প্রজাতির তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি কোনও বিজ্ঞানীই।

দেখুন সেই ভিডিও

তবে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক জানাচ্ছে, মাছটির ‘পা’-এর মতো অংশটি আসলে তার ‘পেকটোরাল ফিন’। জাপানের কাগোশিমা ইউনিভার্সিটি মিউজিয়মের মেরিন বায়োলজিস্ট হিরোয়ুকি মটোমুরা জানাচ্ছেন, স্টিংফিশের সমস্ত প্রজাতিই কাদার মধ্যে থেকে কীটপতঙ্গ খুঁজে বের করতে এই পেকটোরাল ফিন ব্যবহার করে। মাছটি যথেষ্ট বিষাক্ত বলেও জানান তিনি। এই মাছটিও স্টিংফিশের কোনও প্রজাতি হতে পারে বলে জানিয়েছেন মটোমুরা। তবে এই মাছের ‘হাঁটা’র গতি স্টিংফিশের থেকে অনেকটাই বেশি। আর সেটাই বিজ্ঞানীদের আশ্চর্য করেছে সবচেয়ে বেশি।

আরও পড়ুন: ক্ষুধার্ত বাঘের মুখে জ্যান্ত খাবার ছুড়ে দিল চিনের চিড়িয়াখানা! দেখুন সেই ভয়ঙ্কর ভিডিওটি

ভিডিওটি পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গেই ভাইরাল হয় সেটি। এখনও পর্যন্ত ৬ লক্ষ ৩ হাজার ৪১৩ জন দেখেছেন ভিডিওটি।

(ভিডিও সৌজন্যে: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement