হুবহু সি বিচ। সমুদ্রস্নান করুন বা বিচে বসে সানবাথ। সবটাই হবে। শুধু পায়ের নীচে বালিটাই যা নেই। সাধারণ বিচের থেকে আরও একটা পার্থক্য অবশ্য রয়েছে। এটার অবস্থান মাঝসমুদ্রে! কোথায় রয়েছে জানেন?
মাঝসমুদ্রে কৃত্রিম ভাবে তৈরি করা হয়েছে ভাসমান এই বিচ। তৈরি করা হয়েছে একটি সুপারলাক্সারি ইয়াটে। নরওয়ের ডিজাইনার হেরেড এই সুপারলাক্সারি ইয়াটের নকশা বানিয়েছেন।
ইয়াট শব্দের সঙ্গে লাক্সারি বা বিলাসবহুল কথাটা ওতপ্রোত ভাবে যুক্ত। কিন্তু এই ইয়াটকে শুধুমাত্র বিলাসবহুল বললে ভুল হবে। এটা আসলে অতিরিক্ত বিলাসবহুল।
এই সুপারলাক্সারি ইয়াট ১০৮ মিটার লম্বা। তাই এর নাম রাখা হয়েছে ১০৮এম। এর নিজস্ব বিচ রয়েছে।
এই ইয়াটের পিছনের দিকে রয়েছে বিচটি। বিচের মতো বানানোর জন্য পিছন দিকটা ক্রমশ নিচু হয়ে সমুদ্রের জলের সঙ্গে মিশে গিয়েছে। বালি জলে ধুয়ে যাবে, তাই এই অংশে বালি দেওয়া হয়নি। মেঝেটা এমন ভাবেই বানানো হয়েছে, যাতে দেখতে বালির মতোই লাগে। সানবাথ নেওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে।
১০৮এম ভীষণই খোলামেলা। অন্য লাক্সারি ইয়াটের মতো প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে আলাদা নয়। এর দোতলায় রয়েছে একটি খোলা বাগান, সুইমিং পুল। চারিদিকটা কাচ দিয়ে ঢাকা থাকায় ইয়াটের যে কোনও অংশ থেকেই প্রকৃতিকে উপভোগ করতে পারবেন।
এর ভিতরে রয়েছে বিশালাকার একটি ঘর। পার্টি, অফিস কনফারেন্সের মতো কাজে ব্যবহার করা যায় এই ঘরটি। ঘরের দেওয়ালও তৈরি হয়েছে কাচ দিয়ে। হেলিকপ্টার ওঠানামার জন্য হেলিপ্যাডও রয়েছে এতে।
তিন হাজার বর্গ ফুট জুড়ে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন সৌর প্যানেল লাগানো রয়েছে। ফলে ইয়াটে বিদ্যুতের কোনও সমস্যা হবে না। তবে কোনও কারণে সমুদ্রে ঝড় উঠলে কী ভাবে বিপুল জলরাশিকে ভিতরে ঢোকা থেকে আটকাবে? তা এখনও খোলসা করেননি এর ডিজাইনার।