গ্রিক উপকথার কিং মিডাসের কথা মনে আছে? যা কিছুই তিনি ছুঁতেন, সব সোনা হয়ে যেত। ভিয়েতনামে এমনই একটি হোটেল আছে, সেখানে যা কিছুই ছোঁবেন তা-ই সোনা। আদ্যোপান্ত সোনায় মোড়ানো এই হোটেলে এসে নিজেকে কিং মিডাস-ও মনে হতে পারে। দেখে নেওয়া যাক এই হোটেল সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য যা আপনাকে চমকে দেবে।
আদ্যোপান্ত সোনা দিয়ে মোড়ানো এই হোটেলটি রয়েছে ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে। দাবি করা হচ্ছে, এটাই বিশ্বের প্রথম ও একমাত্র সোনার হোটেল।
হোটেলটির নাম ডোলস হ্যানয় গোল্ডেন লেক। গিয়াং ভো হ্রদের পাশে এটি গড়ে তোলা হয়েছে।
হোটেলটি মালিকানা হোয়া বিন গ্রুপের। পরিচালনা করে আমেরিকার উইন্ডহ্যাম হোটেলস অ্যান্ড রিসর্টস সংস্থা।
হোটেলটি তৈরিতে ১ টন সোনা ব্যবহার করা হয়েছে।
২৫ তলার এই হোটেলটিতে রয়েছে মোট ৪০০টি ঘর।
হোটেলের বাইরের দেওয়ালে ৫৪ হাজার বর্গ ফুট জুড়ে সোনার পাত দিয়ে মোড়া।
হোটেলের দরজা, জানলা, সিঁড়ি, ঘর, বাথরুম এমনকি সমস্ত আসবাবও সোনার তৈরি।
হোটেলের সব কিছুই ২৪ ক্যারাট সোনা দিয়ে তৈরি।
২০০৯-এ হোটেলটির নির্মাণ শুরু হয়। হোটেল কর্তৃপক্ষের দাবি, সোনা নাকি মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। তাই পুরো হোটেলেই সোনা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
হোটেলটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে ২০ কোটি ডলার।
হোটেলের ছাদে একটি ইনফিনিটি পুল আছে। সেই পুলও সোনার পরতে মোড়া।
হোটেলে এক রাতের ভাড়া ২০ হাজার টাকা থেকে শুরু। ডবল বেডরুম সুইটের এক রাতের ভাড়া ৭৫ হাজার টাকা।
হোটেলে ৬ রকমের ঘর এবং ৬ ধরনের সুইট আছে। প্রেসিডেন্সিয়াল সুইটে এক রাতের ভাড়া প্রায় ৫ লক্ষ টাকা।
শুনলে অবাক হবেন যে, হোটেলে যে খাবার দেওয়া হয় তা-ও সোনার পাতলা মোড়কে ঢেকে দেওয়া হয়।
হোটেলের পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য কর্মীদের পোশাকের রং লাল ও সোনালি রাখা হয়েছে।